Hanuman Jayanti 2024: জীবনটাই চ্যালেঞ্জে ভরা ? মনোবল জোগাবে বজরঙ্গবলীর পুজো, জানুন হনুমান জয়ন্তীর দিনক্ষণ নিয়ম
Hanuman Puja 2024 : হনুমান পুজো মানুষকে শক্তি দেয়। হনুমান চালিশা পাঠে মেলে শক্তি ও ভক্তি। হনুমান জয়ন্তীতেই শুরু করুন অঞ্জনি-পুত্রর পুজো ।
জীবনে কঠিন সময় চলছে ? কিছুতেই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারছেন না ? বারবার ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ছেন ? মনে হচ্ছে কেউ আপনাকে সমস্যায় ফেলছে ? এইরকম সঙ্কটে পথ দেখাতে বজরঙ্গবলী। সব নেতিবাচক শক্তিকে দূরে রাখতে পারেন হনুমানজি। মানুষের বিশ্বাস এমনটাই। প্রতি মঙ্গলবারই হনুমানজির বিশেষ পুজোর দিন। সামনেই হনুমান জয়ন্তী। এদিন হনুমানের পুজো করা বিশেষ তাৎপর্যবহ। আর্থিক সমস্যা থেকে চাকরি সমস্যা, বিবাহিত জীবনে সমস্যা, সবকিছুর জন্যই বজরঙ্গবলীর পুজো খুবই ফলদায়ক বলে মনে করেন অনেকে।
হনুমানজিকে ভগবান শিবের অবতার বা রুদ্রাবতার বলে মনে করা হয়। হিন্দু ধর্মে, তাঁকে কলিযুগের জাগ্রত দেবতা বলা হয়ে থাকে। মনে করা হয়, অমরত্বের বর পাওয়ার সৌজন্যে তিনি এই ধরাধামেই আছেন, ভক্তজনের মাঝেই। তাই তাঁকে ডাকলে সহজে সাড়া পাওয়া যায়। হনুমানজির জন্মবার্ষিকীকেই হনুমান জয়ন্তী বলা হয়।
হনুমানজির জন্মবার্ষিকী চৈত্র পূর্ণিমায় পড়ে। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে হনুমান জয়ন্তী পড়বে বৈশাখে। পঞ্চাং অনুসারে, পূর্ণিমা তিথি, ২৩ এপ্রিল পালিত হবে হনুমান জয়ন্তী। এদিন ভোর ৩.২৫ মিনিটে শুরু হচ্ছে তিথি। তিথি শেষ হবে ২৪ এপ্রিল সকাল ৫ টা ১৮ মিনিটে। ২৩ এপ্রিল পড়েছে মঙ্গলবারই।
হনুমানজির পুজো হিন্দু ধর্মের মানুষের কাছে অত্যন্ত বিশ্বাসের জায়গা। কারণ হনুমান পুজো মানুষকে শক্তি দেয়। হনুমান চালিশা পাঠে মেলে শক্তি ও ভক্তি। সেই সঙ্গে যদি বজরং বাণ পাঠ করা যায়, তাহলে কঠিন কাজও সহজ হয়। বড় বাধা কেটে যায়। মনে করা হয়, হনুমানজির পুজো করলে রাশিতে মঙ্গলের দোষ কাটে।
হনুমানজির পুজোর জন্য লাগবে, হনুমানজির মূর্তি বা ছবি, ফল, মালা, জুঁই তেল,, লাল ফুল, সিঁদুর, অক্ষত চাল, গরুর দুধের ঘি, প্রদীপ, পান, ধূপ, এলাচ, লবঙ্গ, বোঁদের লাড্ডু, ছোলার লাড্ডু, মতিচুর লাড্ডু, গুড়, কালো ছোলা, হনুমানজির ধ্বজা, পবিত্র সুতো, পাদুকা, কাপড়, হনুমান চালিশা, শঙ্খ, ঘণ্টা । তবে কোনও মন্দিরে গিয়ে সাধ্যমতো উপকরণ দিয়েও পুজো দিতে পারেন। মনে চাই ভক্তি।
হনুমান জয়ন্তীতে স্নানের করে দিন শুরু করতে হবে। ভক্তরা হনুমান মন্দিরে গিয়ে পুজো দিতে পারেন। বাড়িতেও পুজোর আয়োজন করা যায়। যেখানেই পুজো করবেন, অবশ্যই হনুমানজির মূর্তির উপরে সিঁদুর অর্পণ করতে হবে। ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য নিবেদন করে মন্ত্র পাঠ করে হনুমানজির পুজো করতে হবে। এদিন হনুমান চালিসা পড়ে আরতি করা ও বজরং বাণ পাঠ করার রীতি রয়েছে। উপবাসও রাখেন অনেকে সম্ভব হলে। ওম শ্রী হনুমতে নমঃ মন্ত্রে তুষ্ট করুন বজরঙ্গবলীকে।
ডিসক্লেমার : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।