Japan Moon Mission: চাঁদে জাপান! কিন্তু ভারতের সাফল্য ছুঁল কী? এখনও ধোঁয়াশা
Japan Moon Sniper:জাপানের সময় অনুযায়ী রাত ১২টা বেজে ২০ মিনিটে চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে জাপানের মুন স্নাইপার। যদিও সফট ল্যান্ডিং হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
কলকাতা: আরও একটি দেশ ছুঁল চাঁদ। কথা হচ্ছে জাপানের চাঁদ অভিযান নিয়ে। সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, জাপানের সময় অনুযায়ী রাত ১২টা বেজে ২০ মিনিটে চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে জাপানের মুন স্নাইপার (Moon Sniper)।
যদিও সফট ল্যান্ডিং হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। ল্যান্ডারের অবস্থা ঠিক কীরকম তা এখও স্পষ্ট- নয় বলে জানিয়েছেন জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (Japan Aerospace Exploration Agency) । একটি সাংবাদিক বৈঠকে জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে বলা হচ্ছে, তারা ল্যান্ডারের অবস্থা পরীক্ষা করে দেখছেন। Japan Aerospace Exploration Agency-এর টেলিমেট্রি তথ্য় অনুযায়ী স্মার্ট ল্যান্ডার ল্য়ান্ড করেছে। কিন্তু তারপরে তার কী অবস্থা সেটা ভারতীয় সময় পৌনে দশটা পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
এই অভিযানের আরেক নাম স্মার্ট ল্যান্ডার ফর ইনভেস্টিগেটিং মুন (Smart Lander for Investigating Moon)। যদি এই অভিযান সফল হয়, অর্থাৎ তাহলে জাপান বিশ্বে পঞ্চম দেশ হবে যারা চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করবে। এর আগে আমেরিকা (USA), সোভিয়েত ইউনিয়ন (USSR), চিন (CHINA) এবং ভারত (INDIA) এই কাজে সফল হয়েছে।
The live streaming has been suspended. Please wait until the press conference. https://t.co/AcRTBcHAuL
— JAXA(Japan Aerospace Exploration Agency) (@JAXA_en) January 19, 2024
এই অভিযানের বিশেষত্ব কী?
আগের চন্দ্রাভিযানের (Moon Mission) ক্ষেত্রে এমন এলাকা লক্ষ্য রাখা হতো যেটা কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ ছিল। কিন্তু SLIM ল্যান্ডারের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ল্য়ান্ডিংয়ের জন্য বেছে নেওয়া হয় যে এলাকা ১০০ মিটার বিস্তৃত। ল্যান্ডারে থাকা Smart Eye-ইমেজ ম্যাচিং বেসড নেভিগেশন টেকনোলজির মাধ্যমে ল্যান্ডিং করার কথা। এর মাধ্যমে দ্রুত ছবি তোলা হবে যত চাঁদের মাটি এগিয়ে আসবে। তার ভিত্তিতে ল্যান্ডার স্বয়ংক্রিয় ভাবে অ্যাডজাস্ট বা নিয়ন্ত্রিত হবে -এইভাবেই ধীরে ধীরে চাঁদের মাটি ছোঁবে। কিন্তু ঠিক ঠিক এই ধাপগুলি মেনেই গোটা ল্যান্ডিং (Landing) প্রক্রিয়া হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট করেনি জাপানের (Japan) মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
SLIM-এ একাধিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য একাধিক পেলোড রয়েছে। তাতে রয়েছে অ্য়ানালিসিস ক্যামেরা, এক জোড়ো লুনার রোভার।
সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো ১১ (Apollo 11) যেখানে নেমেছিল তার কাছেই Sea of Tranquility এলাকার দক্ষিণে নামানোর কথা ছিল জাপানের মুন স্নাইপারকে।