United Kingdom: ‘বাঁচতে চাইলে জমিয়ে রাখা ইমেল ডিলিট করুন এখনই’, জলসঙ্কট-খরার মোকাবিলায় নাগরিকদের কাছে কাতর আর্জি ব্রিটিশ সরকারের
UK Water Crisis: বিজ্ঞানীদের পরামর্শ মেনে দেশবাসীকে জমে থাকা পুরনো ইমেল মুছে ফেলার নির্দেশ দিল ব্রিটেনের সরকার।

নয়াদিল্লি: জলসঙ্কটের অভিশাপ গ্রাস করছে পৃথিবীকে। জলের অভাবে বছরভর খরার সঙ্গে যুঝতে হচ্ছে কৃষকদের। ফসল উৎপাদন ব্য়হত হওয়ায়, খাদ্যসঙ্কটের আশঙ্কাও দানা বাঁধছে। আর সেই আবহেই উপায় বাতলে দিলেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, জলের অপচয় রুখতে হলে সবার আগে মেলবক্সে জমে থাকা পুরনো ইমেল ধরে ধরে ডিলিট করতে হবে পৃথিবীবাসীকে। (United Kingdom)
বিজ্ঞানীদের পরামর্শ মেনে দেশবাসীকে জমে থাকা পুরনো ইমেল মুছে ফেলার নির্দেশ দিল ব্রিটেনের সরকার। ব্রিটিশ এনভায়রনমেন্ট এজেন্সি জানিয়েছে, জলের অপচয় রুখতে শুধুমাত্র কল বন্ধ রাখলেই চলবে না, জমে থাকা পুরনো ইমেলও মুছে ফেলতে হবে। তাহলেই খরার অভিশাপ থেকে মুক্তি মিলবে। তাদের এই নির্দেশে হতবাক অনেকেই। তবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে একেবারে ঠিক পরামর্শই দেওয়া হয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। (UK Water Crisis)
ইউরোপ জুড়ে সর্বত্রই তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী এই মুহূর্তে। ১৯৭৬ সালের পর ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাস ব্রিটেনের শুষ্কতম সময় বলে গণ্য হচ্ছে। ইয়র্কশায়ার, গ্রেটার ম্যাঞ্চেস্টার, ইস্ট মিডল্যান্ডস, ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস-সহ বেশ কিছু এলাকায় খরা দেখা দিয়েছে। ইংল্যান্ডেও তীব্র আকার ধারণ করেছে জলসঙ্কট। যে কারণে হোসপাইপের ব্যবহারও নিষিদ্ধ করতে হয়েছে। সেই আবহেই দেশবাসীকে জমিয়ে রাখা পুরনো ইমেল মোছার নির্দেশ দিল সরকার। তাদের যুক্তি, বহু দিন ধরে রাখা ইমেল, ছবি সব ক্লাউডে জমিয়ে রেখেছেন নাগরিকরা। সেই সব তথ্য সংরক্ষণ করতে হচ্ছে ডেটা সেন্টারগুলিকেও। সেখানকার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গ্যালন গ্যালন জল খরচ হচ্ছে। মানুষজন যদি অপ্রয়োজনীয় ইমেল, ছবি মুছে ফেলেন, তাহলে অনেকটাই ভার লাঘব হয়, জলও কম খরচ হয়।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিসংখ্য়ান বলছে, বড় আকারের ডেটা সেন্টারগুলি চালাতে প্রচুর জলের প্রয়োজন পড়ে। অতি ছোট ডেটা সেন্টার চালাতেও বছরে ২.৬ কোটি লিটার জলের প্রয়োজন পড়ে। সেই তথ্যও তুলে ধরেছে ব্রিটেনের পরিবেশ বিভাগ। সংস্থার জল ও খরা শাখার ডিরেক্টর হেলেন ওয়েকহ্যাম বলেন, “বর্তমান সময় দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশ বাঁচাতে, জলসঙ্কট ঘোচাতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি আমরা।”
জলসঙ্কট যে চরম আকার ধারণ করতে পারে, সেই নিয়ে ভারতেও জোর চর্চা শুরু হয়েছে। শুধু জলসঙ্কটই নয়, আগামী দিনে বিদ্যুৎ টাকার চেয়েও দামি হয়ে উঠবে বলে মত ব্যবসায়ী, Zerodha-র কর্ণধার নিখিল কামাতের। তাঁর মতে, ডেটা সেন্টারগুলি সার্ভারে ঠাসা থাকে। ওই সার্ভারই সমস্ত তথ্য মজুত রাখে এবং পরিচালনা করে। কম্পিউটার চলতে থাকে যেমন, তেমনই যন্ত্রপাতি সচল ঠান্ডা রাখতে চলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রও। আর তার জন্য ২৪ ঘণ্টা পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রয়োজন পড়ে। কোনও ভাবেই এই ডেটা সেন্টারগুলি বন্ধ করা সম্ভব নয়। ডেটা সেন্টারগুলি চালাতে গেলে, সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে যাবে বিদ্যুৎ। টাকার চেয়েও দামি হয়ে উঠবে।
সমস্ত ডিজিটাল কনটেন্ট, লেখালেখি হোক বা ভিডিও, অনলাইন লেনদেন হোক বা ChatGPT-র মতো AI Tool, সব যেখানে মজুত থাকে, তাকে বলা হয় ডেটা সেন্টার।






















