IND vs SA: দুই দিনেই বদলাল ভাগ্য, কীভাবে মুল্লানপুরের হতাশা পিছনে ফেলে ধর্মশালায় ম্যাচ সেরা হলেন অর্শদীপ?
Arshdeep Singh: প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চার ওভারে ১৩ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নেন অর্শদীপ সিংহ।

ধর্মশালা: দুই দিনের ব্যবধানে কতকিছুই না বদলে যায়। বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে (IND vs SA) দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্য়াচে সাতটি হোয়াইডসহ ১৩ বলের ওভার করেছিলেন অর্শদীপ সিংহ (Arshdeep Singh)। গড়েছিলেন লজ্জার রেকর্ড। চার ওভারে বিনা উইকেটে ৫৪ রান দিয়েছিলেন। তবে রবিবার সেই অর্শদীপই চার ওভারে মাত্র ১৩ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হলেন অর্শদীপ।
ম্যাচসেরা হয়ে অর্শদীপকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি গত ম্যাচের থেকে ঠিক কী এমন বদলান যাতে আমূল বদলে যায় তাঁর ভাগ্য, মেলে সাফল্য? তারকা ফাস্ট বোলার জানান, 'আমি বাড়তি কিছু করেনি, শুধু নিজের দক্ষতায় ভরসা করেছিলাম। এই স্তরে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেললে ঠিকঠাকভাবে নিজের পরিকল্পনা তো বাস্তবায়িতই করতে পারব না। আর বদল তো কিছুই করিনি। আমি খালি সঠিক জায়গায় বলটা রেখে উইকেট থেকে যতটা সম্ভব সাহায্য পাওয়ার চেষ্টা করেছি। ঠান্ডা পরিবেশে বল স্যুইং এবং সিম করার জন্য যথেষ্ট সাহায্য ছিল। জিনিসপত্র সহজ সরল রাখার চেষ্টা করেই আমি সাফল্য পেয়েছি।'
এদিন ভারতের সামনে অল্প রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ম্যাচ জেতাটা খুব একটা কঠিন ছিল না। কিন্তু চিন্তার কারণ যে দলের অধিনায়ক ও সহ অধিনায়কের অফফর্ম। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। ক্রিজে সেট হয়েও বড় রান করতে পারলেন না শুভমন গিল। অন্যদিকে ফের ব্যর্থ হতে হল সূর্যকুমার যাদবকে। তবে ধর্মশালায়ে ম্যাচ জিতে নিল ভারতীয় দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তৃতীয় টি টোয়েন্টি ম্যাচে ৭ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল মেন ইন ব্লুজরা।
১১৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই এনগিডিকে ছক্কা হাঁকালেন অভিষেক শর্মা। প্রথম ওভারে মোট উঠল ১৭ রান। জয়ের মঞ্চ এভাবেই গড়ে দেন তরুণ বাঁহাতি ওপেনার। শুরু থেকেই এত আক্রমণাত্মক খেলেন যে বোলারের মনোবলটাই খারাপ হয়ে যায়। উল্টোদিকে থাকা গিলও ধীরে ধীরে হাত খুললেন। পাওয়ার প্লেতেই ৬১ রান বোর্ডে তুলে ফেলেছিল ভারত। অভিষেক হয়ত আরও একটা অর্ধশতরান পেয়েই যেতেন। কিন্তু মারক্রামের অবিশ্বাস্য ক্যাচ তাঁকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখাল।
গিল ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। বেশ কিছুক্ষণ ক্রিজে সময়ও কাটালেন। কিন্তু ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৮ বলে ২৮ রান করে আউট হয়ে গেলেন। তিন নম্বর স্লটে ভারতীয় দলের কুড়ির ফর্ম্যাটে অটোমেটিক চয়েস তিলক বর্মা। দারুণ ফর্মে রয়েছেন। এদিনও অপরাজিত থাকলেন শেষ পর্যন্ত। তবে রান পেলেন না সূর্যকুমার। এনগিডির একটি ওভারে পরপর দুটো বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু পরের বলেই ক্যাচ আউট হলেন। ব্যর্থতার তালিকা কিন্তু ভারত অধিনায়কের আরও লম্বা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ১৫.৫ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় টিম ইন্ডিয়া।




















