Durand Cup: আক্রমণ, প্রতি আক্রমণের ঝড়, তবুও খুলল না গোলমুখ, ডার্বির প্রথমার্ধের ফল ০-০
Durand Cup, Kolkata Derby: খেলার ৪ মিনিটের মাথায় মোহনবাগান ম্যাচের প্রথম কর্নার পায়। তবে পেত্রাতোস কর্নার থেকে সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ। মাঠের মধ্যেই বল রাখতে পারলেন না তিনি।
![Durand Cup: আক্রমণ, প্রতি আক্রমণের ঝড়, তবুও খুলল না গোলমুখ, ডার্বির প্রথমার্ধের ফল ০-০ Durand Cup: east bengal vs mohun bagan first half goalless draw Durand Cup: আক্রমণ, প্রতি আক্রমণের ঝড়, তবুও খুলল না গোলমুখ, ডার্বির প্রথমার্ধের ফল ০-০](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/09/03/a991de0f36631afe5046e282e3a343c51693740610161206_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: মরসুমের দ্বিতীয় ডার্বি। তার ওপর আবার ডুরান্ড কাপের ফাইনাল। আলাদাই একটা উত্তেজনা থাকবে বলাই বাহুল্য। যুবভারতীয় ক্রীড়াঙ্গণে প্রথমার্ধ শেষে অবশ্য কোনও দলই গোল পেল না। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত ০-০-তেই শেষ হল খেলার প্রথমার্ধ। শুরুতে বল দখলের লড়াইয়ে মোহনবাগান খানিকটা এগিয়ে থাকলেও, নন্দকুমার ইস্টবেঙ্গলের বাঁ-দিক দিয়ে আক্রমণ তৈরি করেন। তবে শেষমেশ মোহনবাগান রক্ষণের কাছে বল জমা দেন তিনি। ব্যর্থ হল আক্রমণ। খেলার ৪ মিনিটের মাথায় মোহনবাগান ম্যাচের প্রথম কর্নার পায়। তবে পেত্রাতোস কর্নার থেকে সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ। মাঠের মধ্যেই বল রাখতে পারলেন না তিনি। খেলায় ৯ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল ফরোয়ার্ড হাভিয়ের সিভেরিয়ো ও শুভাশিস বোস ঝামেলায় জড়ান। সিভোরিয়ো ক্ষোভ জাহির করেন। হলুদ কার্ডের দাবিও উঠে। তবে রেফারি তা নাকচ করে দেন। খেলার ১৫ মিনিটের মাথায় ফের মোহনবাগান কর্নার পেলেও, তা কাজে লাগাতে পারল না। পেত্রাতোস ভাল জায়গায় বল রাখলেও, তা ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ বাইরে বের করে দেয়। থ্রো পেলেও, তাতেও বড় সুযোগ তৈরি হল না।
এরপর ১৯ মিনিটের মাথায় বোরহার সুন্দর থ্রু বল আরেকটু হলেও পায়ে পেয়ে যাচ্ছিলেন মহেশ নাওরেম। মোহনবাগান গোলের বাঁ-দিক থেকে মহেশ কিন্তু সেই বল পায়ে পেলে সবুজ মেরুন রক্ষণ চাপে পড়ত। তবে আনোয়ার আলি নিঁখুত ট্যাকেলে সেই আক্রমণ প্রতিহত করে বল বাইরে বের করে দেন। খেলার ৩০ মিনিটের মাথায় বাঁ দিক থেকে নন্দকুমারের দুরন্ত রান এবং তারপর সল ক্রেস্পোর সঙ্গে ওয়ান টু খেলে মোহনবাগান রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা করে ইস্টবেঙ্গল। তবে শেষমেশ মোহনবাগান রক্ষণ তা আটকে দেয়। লাল হলুদের তরফে পেনাল্টির দাবি উঠলেও, রেফারি তাতে কর্ণপাত করেননি। তবে লাল হলুদের চিন্তা বাড়াল এলসের চোট। চোট নিয়ে খানিকচা সময় খেলার চেষ্টা করলেও পারলেন না সেন্টার ব্যাক এলসে। তাঁকে তুলে নিলেন কুয়াদ্রাত। এলসের বদলে মাঠে নামলেন পার্দো।
খেলার ৩৭ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের বক্সের বাইরে থেকে অনিরুদ্ধ থাপা ডান উইংয়ে আশিস রাইকে লক্ষ্য করে বল বাড়ান। আশিস দুরন্তভাবে স্ট্রেচ করে বল পান এবং তা সাহালের উদ্দেশে বাড়িয়ে দেন। তবে সাহাল ভলিতে নিজের শট লক্ষ্যে রাখতে পারলেন না। এরপর ৪৪ মিনিটের মাথায় রাওকিপ ও বোরহা মিলে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে দুরন্ত প্রতিআক্রমণ গড়ে তোলে। রাওকিপ, বোরহার পা হয়ে সিভোরিয়োর কাছে বল আসে। সিভোরিয়ো অবশ্য বল নিজের দখলে আনতে পারলেন না। তবে মোহবাগান রক্ষণ বল ক্লিয়ার করলেও তা নন্দকুমারের পায়ে পড়ে। তিনি ভলিতে নিজের শট তেকাঠির মধ্যে রাখতে পারেননি।
প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমের পঞ্চম মিনিটে সাহাল ইস্টবেঙ্গল বক্সের সামনে বল পান। তিনি পেত্রাতোসকে বল বাড়ান। অজি ফরোয়ার্ড ইস্টবেঙ্গল গোল লক্ষ্য করে শট নেন বটে, তবে তেকাঠির উপর দিয়ে চলে যায়। গোলশূন্যই শেষ হয় প্রথমার্ধ। দুই দলের কেউই তেমন বড় সুযোগ পায়নি। এমনকী একটি শটও তেকাঠির মধ্যেও রাখতে পারেনি কেউ।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)