BCCI on Rupa Gurunath: ধোনিদের সঙ্গে যুক্ত! স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগে বিদ্ধ শ্রীনিবাসনের মেয়ে রূপা
রূপার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি ইন্ডিয়া সিমেন্টসের ডিরেক্টর। এই ইন্ডিয়া সিমেন্টসই বকলমে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের চেন্নাই সুপার কিংসের মালিক।
চেন্নাই: একটা সময় স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ উঠেছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তৎকালীন দোর্দণ্ডপ্রতাপ প্রেসিডেন্ট নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের বিরুদ্ধে। বলা হয়েছিল, ভারতীয় ক্রিকেটের মসনদে থেকে কীভাবে তিনি একটি আইপিএল দলের (চেন্নাই সুপার কিংস) অন্যতম মালিক হতে পারেন! এবার স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগে বিদ্ধ হলেন বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি এন শ্রীনিবাসনের কন্যা ও তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট রূপা গুরুনাথ। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এথিক্স অফিসার ডি কে জৈন জানিয়েছেন, চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে টিএনসিএ সভাপতির যোগসূত্র উপেক্ষা করা যাবে না।
স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগে ফের জেরবার বোর্ড। বোর্ডের এথিক্স অফিসার ডি কে জৈন চিঠি পাঠিয়েছেন রূপাকে। গত বছর নভেম্বরে সঞ্জীব গুপ্ত বোর্ডের এথিক্স অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। রূপার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি ইন্ডিয়া সিমেন্টসের ডিরেক্টর। এই ইন্ডিয়া সিমেন্টসই বকলমে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের চেন্নাই সুপার কিংসের মালিক। ফলে একইসঙ্গে দুটি পদে থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে। রূপাকে যে কোনও একটি পদ ছাড়তে হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
রূপা হলেন বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি এন শ্রীনিবাসনের মেয়ে। যিনি নিজেই আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) মালিক। যদিও স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়ে ২০১৬ ও ২০১৭, দু'বছর আইপিএল থেকে নির্বাসিত ছিল সিএসকে। সেই সময় জলঘোলা হয়েছিল সিএসকে কর্তা তথা শ্রীনিবাসনের জামাই গুরুনাথ মাইয়াপ্পনকে নিয়ে। নির্বাসনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি নতুন ভাবে গঠিত হয়েছিল। সিএসকে ক্রিকেট লিমিটেড (সিএসকেসিএল) নামে পরিবর্তিত হয় চেন্নাই দলের মালিকানা।
রূপার আইনজীবী পি এস রমন যদিও দাবি করেছেন যে, তাঁর মক্কেলের সঙ্গে সিএসকে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু বোর্ডের এথিক্স অফিসার ডি কে জৈন স্পষ্ট জানিয়েছেন, যেহেতু ইন্ডিয়া সিমেন্টসের অন্তর্গত সংস্থাই সিএসকে দল চালায়, সেহেতু এখানে স্বার্থের সংঘাত হচ্ছে। প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্টের কন্যা এবার কোনও পদ ছাড়েন, নাকি নতুন করে আইনি লড়াইয়ের রাস্তায় যান, সেটাই এখন দেখার।