Pele Demise: সম্রাট-হীন ফুটবল, চির ঘুমের দেশে পেলে
Pele: মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। এ দিন পেলের ম্যানেজার জো ফ্রাগা খবরটি জানান।
রিও দে জেনেইরো: ফুটবল বিশ্বকে কাঁদিয়ে চিরতরে ঘুমের দেশে ফুটবল সম্রাট পেলে। আর পারলেন না জিততে, জীবনের ম্যাচে পরাজিত হতে হল তাঁকে। শেষ হল দীর্ঘদিনের লড়াই। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) ভারতীয় সময় রাত ১২.৩০ নাগাদ ব্রাজিলের (Brazil) সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে (Hospital Albert Einstein Sao Paulo) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। এ দিন পেলের ম্যানেজার জো ফ্রাগা খবরটি জানান।
দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি তিনি। মাঝে মধ্যেই শোনা যাচ্ছিল নানারকম খবর। তাঁর মৃত্যু নিয়ে গুজবও ছড়ায়। তবু ভক্তরা প্রার্থনা করে যাচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত জীবনের মাঠ থেকে বিদায় নিলেন ফুটবল সম্রাট পেলে (Pele)।
সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে প্রায় এক মাস হাসপাতালে কাটানোর পর পেলের এক কন্যা সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) একটি পোস্ট করেন। যা দেখে উদ্বেগ আরও বেড়ে গিয়েছিল গতকালই। আজ সমস্ত আশঙ্কা সত্যি করে খবর প্রকাশ্যে এল।
A inspiração e o amor marcaram a jornada de Rei Pelé, que faleceu no dia de hoje.
— Pelé (@Pele) December 29, 2022
Amor, amor e amor, para sempre.
.
Inspiration and love marked the journey of King Pelé, who peacefully passed away today.
Love, love and love, forever. pic.twitter.com/CP9syIdL3i
পেলের কন্যা কেলি নাচিমেন্তো (Kelly Cristina Nascimento) লিখেছিলেন, তিনি ও তাঁর পরিবার 'দুঃখিত আর হতাশ। যা জানাজানি হতেই নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয় ফুটবলপ্রেমীদের মনে। ৮২ বছরের কিংবদন্তি সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন দীর্ঘদিন। শেষ কয়েকদিন চিকিৎসায় ঠিকমতো সাড়াও দিচ্ছিলেন না পেলে। কয়েকদিন আগে তাঁর কন্যা জানিয়েছিলেন, তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তারকা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষজ্ঞদের চিকিৎসাধীন। পাশাপাশি ক্যান্সার আক্রান্তও পেলে। রয়েছে হৃদযন্ত্রের সমস্যা। ২৯ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পেলে।
পেলেই একমাত্র ফুটবলার যিনি ৩টি বিশ্বকাপ জিতেছেন। ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালে বিশ্বকাপ জয় পেলের। ব্রাজিলের জার্সিতে ৯২ ম্যাচে ৭৭টি গোল করেছেন ফুটবল সম্রাট। ক্লাব ও দেশের হয়ে ১ হাজার ৩৬৩টি ম্যাচে ১ হাজার ২৮৩টি গোল। সব মহাদেশের ফুটবলভক্তরা বুঁদ হতেন পেলের পায়ের জাদুতে। ফুটবলভক্তরা তাঁকে ডাকেন 'ব্ল্যাক পার্ল' নামে। ১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর ব্রাজিলের ত্রেস কোরাকোয়েস শহরে জন্ম। জন্মের পর বাবা-মা নাম রাখেন এডসন অ্যারিন্টো ডো নাসিমেন্টো'।
আরও পড়ুন: Gautam Gambhir: বিশ্বকাপের বছরে ওয়ান ডে ম্যাচ এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয় কোহলি-রোহিতের, মত গম্ভীরের