Jagdeep Dhankhar: মেয়াদ শেষ করব বলেও কেন ধনকড়ের ইস্তফা? ABP Ananda LIVE
ABP Ananda LIVE: অনুগত থেকে ব্রাত্য়? উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে জগদীপ ধনকড়ের রহস্য়ময় ইস্তফার পর, এই প্রশ্নই জোরাল হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। সূত্রের দাবি, মোদি সরকারের সঙ্গে সংঘাতের জেরে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকতে পারেন তিনি। যদিও, রাজ্য়সভার চেয়ারম্য়ান হিসেবে জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে বারবার যে অভিযোগ উঠেছে, তা হল--- বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে অধিবেশন চালানো। ২০২৩ সালের অগাস্টে, বিরোধীরা যখন দাবি করছে, মণিপুর ইস্য়ুতে প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্য়সভায় বক্তব্য় রাখতে হবে, তখন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় বিরোধীদের বলে দিয়েছিলেন--- "আমি প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্য়সভায় আসতে বলব না, বলতে পারবও না। এটা প্রধানমন্ত্রীর ব্য়াপার।" ২০২৩ সালেরই ডিসেম্বরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন নজিরবিহীনভাবে সাসপেন্ড করা হয় ১৪৬ জন বিরোধী সাংসদকে! যার মধ্য়ে রাজ্য়সভা থেকে সাসপেন্ড করা হয় ৪৬ জনকে! সেই সময় রাজ্য়সভার চেয়ারম্য়ানের চেয়ারে ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়! ভারতীয় সংসদের ইতিহাসে তিনিই একমাত্র উপরাষ্ট্রপতি, যাঁকে সরাতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। এখন তাঁর ইস্তফা ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনেত বলছেন--- "কর্তব্য়ের প্রতি নিষ্ঠা রাখা উচিত। সংবিধানকে সবার ওপরে রেখে কাজ করা উচিত। অন্য়দের খুশি করার চেষ্টার ফল কী হয়, সেটা সবাই দেখছে।" সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য়--- "এটাকে বলে More loyal than the king... তিনি অনেক বেশি RSS, অনেক বেশি বিজেপি, এটা প্রমাণ করার জন্য় অনেক বাড়তি কথা বলছিলেন। যতটা RSS, বিজেপি এখনও বলেনি। বিজেপি যেভাবে দেশ চালাচ্ছে, তাতে অনেক কিছু গোপন আছে।" যদিও, বিজেপির রাজ্য়সভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলছেন--- "রাজ্য়সভার চেয়ারম্য়ান হিসেবে তাঁর ভূমিকা সকলেই জানেন। বিরোধিতার জন্য় বিরোধিতা, এর মধ্য়েও কোনও রাজনীতি খোঁজা, কাঙ্খিত নয়।"

















