Bratya Basu on NEET: NEET নিয়ে CBI, ED হবে না? প্রশ্ন ব্রাত্যর, পাল্টা 'চালুনি' বলে কটাক্ষ সুকান্তর
NEET Controversy 2024: ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় ঘিরে ভূরি ভূরি অভিযোগ সামনে এসেছে।
কলকাতা: ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। সেই নিয়ে এবার বাগযুদ্ধে জড়ালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং কেন্দ্রের নব নিযুক্ত শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যের শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে যেখানে CBI, ED তদন্ত হয়েছে, দলে দলে নেতাদের জেরে পোরা হয়েছে, NEET-এর ক্ষেত্রে কেন তা হবে না, প্রশ্ন তুলেছেন ব্রাত্য। যদিও সুকান্তর দাবি, চালুনির সূচের বিচার করা চলে না।(Bratya Basu on NEET)
ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় ঘিরে ভূরি ভূরি অভিযোগ সামনে এসেছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, নতুন করে প্রায় ১৫০০ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানিয়েছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। সেই নিয়ে একযোগে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। ভবিষ্যতের চিকিৎসকদের প্রবেশি পরীক্ষায় কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে এবং কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। (NEET Controversy 2024)
সেই আবহেই শনিবার সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, "NEET নিয়ে এই বিতর্কে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতাই প্রকাশ পেয়েছে। হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। আমাদের রাজ্যে শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে অনেক তদন্ত হল, অনেক গ্রেফতারিও হল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের NEET, যা ভারতের সবচেয়ে সম্মানজনক পরীক্ষা, তার জন্য কোনও তদন্ত হবে না? NEET-এ CBI, ED দেখতে পাব না আমরা?"
ব্রাত্যর এই কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন সুকান্ত। তাঁর কথা, ""ব্রাত্যবাবুর কথা শুনে মনে হচ্ছে, চালুনি করে সূচের বিচার। মাধ্যমিকে এত প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যে, লোকে এখন 'মাধ্যলিক' বলে।-ওদের আমলে কী হতো? আল আমিন মিশবের ছাত্রছাত্রী দিয়ে মেডিক্যল কলেজ ভরে গিয়েছে। বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য আলাদা হস্টেল তৈরি হয়েছে। যাদের যোগ্যতা নেই, তারা ঢুকে পড়েছে। তদন্ত হলে সব জেলে যাবে।" NEET-এ কোনও দুর্নীতি হয়নি বলেও দাবি করেন সুকান্ত।
তবে সুকান্ত NEET-এ দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করলেও, ইতিমধ্যেই বিহার এবং গুজরাতে অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন। বিহারে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র হাতে পেতে মাথাপিছু ৩০ লক্ষ টাকা করে ছাত্ররা দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। গুজরাতের গোধরার একটি পরীক্ষাকেন্দ্রেই ১২ কোটির লেনদেন হয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। কোথাও ৬৬ লক্ষ টাকা করে মাথাপিছু নেওয়া হয়েছে ছাত্রদের থেকে। ফাঁকা খাতা ভরে দিতে কোথাও আবার পড়ুয়ারা ব্ল্যাঙ্ক চেক লিখে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সেই নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ, যার আঁচ এসে পড়ল বাংলার রাজনীতিতেও।
নিটে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ, কেন্দ্রকে নিশানা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর
'এটা কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা'
'হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা'
'আমাদের রাজ্যে শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত হল, গ্রেফতার হল'
কিন্তু কেন্দ্রের শিক্ষা দুর্নীতির কোনও তদম্ত হল না, আক্রমণ ব্রাত্য বসুর