Malay Ghatak: কয়লা পাচারকাণ্ডে এবার রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে নোটিস পাঠাল ED
ED on Malay Ghatak:কয়লা পাচারকাণ্ডে এবার মলয় ঘটককে নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। দিল্লির সদর দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কলকাতা: কয়লা পাচারকাণ্ডে এবার মলয় ঘটককে নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। দিল্লির সদর দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ১৯ জুন সশরীরে হাজিরার নির্দেশ রাজ্যের আইনমন্ত্রীকে। সূত্রের খবর মলয় ঘটককে তলব নিয়ে আদালতের নির্দেশ ছিল সময় নিয়ে ডাকতে হবে। প্রথম ২ বার সময় দেননি মলয় ঘটক, তৃতীয়বার মেল করলে সময় দিয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী।
কয়লা পাচার মামলায়, গ্রেফতার হয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী CISF-এর ইন্সপেক্টর এবং কেন্দ্রীয় সংস্থা ECL-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর। দুজনকেই গ্রেফতার করেছিলল কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, কয়লা মাফিয়ার সঙ্গে যোগসাজশ করে বিপুল অঙ্কের টাকা পকেটে পুরেছেন ধৃতরা। জেরায় বহু প্রশ্নের সদুত্তরও দিতে পারেননি তাঁরা।কয়লা পাচার মামলায় এবার কেন্দ্রীয় এজন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর বর্তমান আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রাক্তন কর্তা।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ CISF-এর ইন্সপেক্টর আনন্দ সিংহ এবং কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রকের ECL-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর সুনীলকুমার ঝা-কে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই। কয়লামন্ত্রকের অধীনস্থ ECL’এর খনির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা CISF এবং ECL’এর নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী। অভিযোগ উঠেছিল, খনি থেকে, কয়লা মাফিয়া, ECL আধিকারিকদের একাংশ এবং রাজনীতিবিদদের যোগসাজশে বেআইনিভাবে বেশি পরিমাণ কয়লা তোলা হত। তারপর তা লরিতে বোঝাই করে বার করে দেওয়া হত।
সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছিল, কয়লা পাচারকারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে তাদের থেকে প্রোটেকশন মানি বাবদ মোটা টাকা নিতেন CISF-এর ইন্সপেক্টর, ধৃত আনন্দ সিংহ। বিনিময়ে তিনি কয়লা মাফিয়াকে সুবিধা পাইয়ে দিতেন বলে অভিযোগ। বেআইনি কয়লা পাচারের টাকা ধৃত ECL-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর সুনীলকুমা ঝা-র কাছেও পৌঁছেছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
সিবিআই সূত্রে দাবি, তদন্তে উঠে আসা নথি এবং কয়েকজনের বয়ানের কপি দেখিয়ে তাঁদের প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু, বেশিরভাগ প্রশ্নেই তারা কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এরপরই CISF-এর ইন্সপেক্টর আনন্দ সিংহ এবং ECL-এর প্রাক্তন ডিরেক্টর সুনীলকুমার ঝা-কে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এর আগে কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আর তারপরই কেন্দ্রীয় এজেন্সির নিরপেক্ষতা নিয়ে তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।