Jhargram: হাতির হামলায় ভেঙেছে ঘর, ৬ মাস ধরে দিন কাটছে দোকানঘরে
Elephant Attack: কবে মিলবে ক্ষতিপূরণ, প্রশ্ন ভুক্তভোগী পরিবারের
অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: ৬ মাস আগে দাঁতালের তাণ্ডবে ভেঙেছে ঘর। সবার কাছে দরবার করেও স্থায়ী বাসস্থানের সংস্থান হয়নি। অগত্যা ঠাঁই হয়েছে কর্মতীর্থের দোকানঘরে। এভাবে আর কতদিন? প্রশ্ন ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলের ২ পরিবারের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
হাতির হানায় ভেঙেছে ঘর। তারপর কেটে গেছে ছ'ছটা মাস। পরিবার, গবাদি পশু নিয়ে ঠাঁই নিতে হয়েছে কর্মতীর্থের দোকানঘরে। রাজ্যজুড়ে দিকে দিকে যখন আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, তখন ফের বাড়ি নিয়ে অসন্তোষের ছবি দেখা গেল ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলে। যদিও বন প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়কের দাবি, এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না তিনি।
কবেকার ঘটনা?
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০২২-এর ১৯ অগাস্ট দাঁতালের তাণ্ডবে সাঁকরাইল ব্লকের চুনপাড়ার বাসিন্দা শশাঙ্ক হালদার ও বাবুরাম বিশ্বাসের মাটির বাড়ি ভেঙে যায়। ব্যাপক ক্ষতি হয় ফসলের। প্রবল ক্ষোভ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের। ক্ষতিগ্রস্ত ২ পরিবারের অভিযোগ, সবার কাছে অভিযোগ জানালেও কোনও লাভ হয়নি। শেষমেশ, কর্মহীনদের স্বনির্ভর প্রকল্প কর্মতীর্থ-র জন্য তৈরি দোকানঘরে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করে ব্লক প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য কাঞ্চনা বিশ্বাস বলেন, 'সবাইকে বলেছি। কেউ কিছু করেনি।'
বিজেপির তোপ:
ঘটনায় বনপ্রতিমন্ত্রীর উদ্দেশ্য়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছেন বীরবাহা হাঁসদা। ঝাড়গ্রামের বিজেপি সভাপতি তুফান মাহাতো বলেন, 'এরকম ঘটনা ঘটেই চলেছে। মন্ত্রী খোঁজ রাখেন না, সাঁকরাইলের ঘটনা সামনে এসেছে। তৃণমূলের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ নেই। বন প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করছে না।'
ঝাড়গ্রামের বিধায়ক ও বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, 'আমি সম্প্রতি জেনেছি। আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।' আর কতদিন এভাবে থাকতে হবে? কবে ফিরতে পারবেন নিজের বাড়িতে? প্রশ্ন তুলছেন ভুক্তভোগীরা।
বারবার হাতির হামলা:
জঙ্গলমহল এলাকা থেকে উত্তরবঙ্গ। বারবার হাতির দলের হামলায় সমস্যায় পড়ছেন বাসিন্দারা। কখনও জঙ্গলমহলে খাবার খেতে বাড়িঘর ভেঙে দিচ্ছে হাতি। কখনও আবার উত্তরবঙ্গে চা বাগান ও লাগোয়া এলাকায় হাতির দাপটে সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয়রা। হাতির হামলা নিয়ে জেরবার বন দফতরও। হাতিদের তাড়িয়ে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া যথেষ্ঠ বিপজ্জনত ও কষ্টকর কাজ। পাশাপাশি রয়েছে পুনর্বাসনের কাজও। হাতির হামলায় মৃত্যুর ঘটনাও এড়ানো যায়নি। এরই মধ্যে সামনে এল হাতির হানায় ঘর হারানোর পরেও বাড়ি না মেলার অভিযোগ।
বাঁকুড়াতেও হাতির হানা:
হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্থ বিঘের পর বিঘে জমির আলু গাছ। প্রতিবাদে রাতভর বন দফতরের আধিকারিক ও পুলিশ আধিকারিকদের গ্রামে আটকে রাখলেন স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। বাঁকুড়ার বড়জোড়া রেঞ্জের রাওতড়া গ্রামের ঘটনা। রবিবার সকালে বেলিয়াতোড় থানার বিশাল পুলিশবাহিনী গ্রামে গিয়ে বন দফতরের আধিকারিকদের উদ্ধার করেন। স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের দাবি, বারবার হাতির হানায় বিপুল ক্ষতি হলেও বন দফতরের তরফে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ মিলছে না। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না মিললে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামের মানুষ।
আরও পড়ুন: চড়কাণ্ডে দত্তপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের, এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত ; পথে নামার হুঁশিয়ারি বিজেপির