Bhuban Badyakar Update: আর বাদাম বিক্রি করবেন না, তিন লক্ষ টাকার চুক্তি সেরেই ঘোষণা ভুবনের
Bhuban Badyakar: সাত সমুদ্র পেরিয়ে ভুবনের গাওয়া ‘কাঁচা বাদাম’ (Kancha Badam) ছড়িয়ে পড়েছে বিদেশেও। প্রত্যেকেই নিজের মতো করে তাঁর গানের আলাদা আলাদা সংস্করণও বার করছেন।
আবীর ইসলাম, বীরভূম: হলি-বলি-টলি মেতে রয়েছে তাঁর গানে। বাদাম বিক্রেতার চেয়ে এখন শিল্পী হিসেবেই পরিচিত তিনি। তাই আর পুরনো পেশা এ বার ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ‘বাদামকাকু’ ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar)। বাদাম বিক্রি ছেড়ে সম্পূর্ণ ভাবে সঙ্গীত সাধনাতেই ডুবে যেতে চান তিনি।
সাত সমুদ্র পেরিয়ে ভুবনের গাওয়া ‘কাঁচা বাদাম’ (Kancha Badam) ছড়িয়ে পড়েছে বিদেশেও। প্রত্যেকেই নিজের মতো করে তাঁর গানের আলাদা আলাদা সংস্করণও বার করছেন। সঙ্গে চলছে ডাবসম্যাশ, এবং নাচের রিলস। তাতেই এ বার শিল্পী ভুবনের ব্যবসায়ীক স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে গোধূলিবেলা মিউজিক কোম্পানি।
এই গোধূলিবেলা মিউজিক কোম্পানিই (Music) প্রথম ভুবনের গানটিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করে। বীরভূমের ইলামবাজারেরই সংস্থা সেটি। বৃহস্পতিবার খাতায়-কলমে ভুবনের সঙ্গে কপিরাইট চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তারা, যাতে ভুবনের ওই গান ব্যবহার করার আগে তাদের অনুমতি নিতে হবে প্রত্যেককে। তার বিনিময়ে পারিশ্রমিকও মিলবে।
এ দিন সেই উপলক্ষে ইলামবাজারে (Birbhum News) ছিলেন ভুবন। তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন তিনি। তার মধ্যে এ দিন দেড় লক্ষ টাকা পেয়েছেন। আগামী সপ্তাহে বকেয়া দেড় লক্ষ হাতে পাওয়ার কথা তাঁর। সেখানেই ভুবন জানান যে, আর বাদাম বিক্রি করবেন না তিনি।
আরও পড়ুন: সিঙ্গুরে শিল্পের জমিতে মাছের ভেড়ি, বিরোধিতায় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সিপিএমের কৃষক সংগঠনের
এক গানই যে তাঁকে রাতারাতি তারকা বানিয়ে দিয়েছে, সে ব্যাপারে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ভুবন। এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমার গান নানা জায়গায় বাজছে। নাইজিরিয়াতেও বেজেছে। সবাই নাচছে আমার গানে। খুব ভাল লাগছে। বম্বে থেকে ডাক পাচ্ছি। দিল্লি এবং অসম থেকেও ডাকছে।”
পড়শি দেশ বাংলাদেশেও বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভুবনের ‘কাঁচা বাদাম’। বাংলাদেশেও যাওয়ার ইচ্ছা ছিল ভুবনের। কিন্তু বাদ সেধেছেন স্ত্রী। ভুবনের বাংলাদেশ (Bangladesh) যাওয়ায় নাকি তীব্র আপত্তি তাঁর স্ত্রীর। তাই যতই তারকা হয়ে যান না কেন, স্ত্রীর চোখরাঙানি কিছুতেই উপেক্ষা করতে পারছেন না ভুবন। তাঁর বক্তব্য, “আমার তো বাংলাদেশ যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু বউয়ের ভয়ে যেতে পারছি না।”
গোধূলিবেলা মিউজিক কম্পানির আধিকারিক গোপাল ঘোষ জানিয়েছেন, ভুবনের গান প্রকাশ করলেও, কপিরাইটের বিষয়টি সম্পর্কে তেমন ওয়াকিবহাল ছিলেন না তাঁরা। তাই যে, যেমন পেরেছেন, ভুবনের গান ব্যবহার করেছেন। তবে এখন বিষয়টি বুঝতে শুরু করেছেন। তাই গান চুরি রুখতে আগামী দিনে কঠোর পদক্ষেপ করবেন তাঁরা।