Khagragarh JMB Militant: আনসারুল্লা বাংলা টিমের সক্রিয়তার নেপথ্যে খাগড়াগড় কাণ্ডে অভিযুক্ত জেলবন্দি
ABT Activity in West Bengal: আনসারুল্লা বাংলা টিমের সক্রিয়তার পিছনে রয়েছে খাগড়াগড় কাণ্ডে অভিযুক্ত জেলবন্দি জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গি।
আবির দত্ত, কলকাতা : আনসারুল্লা বাংলার সক্রিয়তার নেপথ্যে খাগড়াগড়ের জেলবন্দি। জেল থেকেই আনসারুল্লা বাংলা টিমের মডিউলে সক্রিয় খাগড়াগড়ের বন্দি জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গি। আনসারুল্লা বাংলার অস্ত্র-বিস্ফোরক জোগাড়ের নেপথ্যেও জেলবন্দি। বাংলা-অসম-কেরলে জঙ্গি গ্রেফতারে পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য, খবর সূত্রের। খাগড়াগড় বিস্ফোরণে সাজাপ্রাপ্ত তারিকুল ইসলাম। বহরমপুর জেল থেকেই আনসারুল্লা বাংলা টিমের নেটওয়ার্ক তৈরিতে সক্রিয় তারিকুল, খবর সূত্রের। জেল থেকেই আনসারুল্লা বাংলা টিমের সক্রিয়তার নেপথ্যে সাদিকুল, সন্দেহ গোয়েন্দাদের।
পুলিশি তদন্তে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে জেলে বন্দি একজন জঙ্গি কীভাবে অন্য জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয়তার মাস্টারমাইন্ড হতে পারে? তাহলে জেলের ভিতর নিরাপত্তায় ঠিক কতটা ঢিলে রয়েছে? ২০১৪ সালে খাগড়াগড় বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত এক জেএমবি জঙ্গি এখন বন্দি বহরমপুর জেলে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলায় আনসারুল্লা বাংলা টিমের অতি সক্রিয়তার পিছনে নাকি রয়েছে জেলবন্দি তারিকুল ইসলাম নামের ওই জেএমবি জঙ্গিই। অস্ত্র-বিস্ফোরক জোগানের পিছনেও ছিল তারই মাথা, এমনই তথ্য উঠে এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে।
তদন্ত যত এগোচ্ছে, গোয়েন্দাদের হাতে উঠে আসছে চমকে দেওয়ার মতো একাধিক তথ্য। আনসারুল্লা বাংলা টিমের লক্ষ্য ছিল সদস্য সংখ্যা আরও বাড়ানো, স্লিপার সেলে সদস্য যোগ করানো এবং নাশকতার ছক তৈরি করা। এইসবের নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম এই তারিকুল ইসলাম। এই জঙ্গির আরও নাম রয়েছে যেমন সাদিক শেখ, সাদিক সুমন। এই জেলবন্দি জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গি শুধুমাত্র খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্তই নয়, সাজাপ্রাপ্তও বটে। জেলবন্দি একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী কীভাবে অন্য একটি জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয়তার মাস্টারমাইন্ড হতে পারেন, তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
২০১৫ সালের মার্চ মাসে গ্রেফতার হয় তারিকুল। বীরভূম এবং ঝাড়খণ্ড সীমান্ত থেকে এই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই বহরমপুর জেলে রয়েছে সে। অন্যদিকে পকসো আইনে আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল মহম্মদ আব্বাস আলি এবং মিনারুল নামের দুই ব্যক্তিকে। সূত্রের খবর, মিনারুল এবং আব্বাসের সঙ্গে বহরমপুর জেলে সাক্ষাৎ হয় তারিকুলের। বেশ কিছু তথ্য আদান-প্রদান হয় তাদের মধ্যে। পরিকল্পনাও হয় অনেক কিছুরই। তারিকুলের কিছু নির্দেশ পালনেরও চেষ্টা করেছিল আব্বাস, মিনারুলরা। এমনটাই মনে করছেন গোয়েন্দারা। অন্যদিকে অসম এসটিএফ- এর অপারেশন প্রঘাত- এ গ্রেফতার হয়েছে জঙ্গি নুর ইসলাম মণ্ডল। ফালাকাটায় গিয়ে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ বার গিয়ে বৈঠক করেছিল সে। দাওয়াতের নামে ফালাকাটা গিয়েছিল সে। গোয়েন্দাদের অনুমান সেখানে হয়তো অনেক জেএমবি জঙ্গিও উপস্থিত ছিল। কাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল, কী কী পরিকল্পনা হয়েছিল, নাশকতার পরিকল্পনা কোথায় কোথায় ছিল এইসব জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন- কম্বল বিলি আর খিচুড়ি খাওয়া নিয়ে হুড়োহুড়ি, আহত ৭
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।