(Source: Poll of Polls)
Job Fraud: আমেরিকায় চাকরির টোপ দিয়ে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, কলকতায় ধৃত ৩, উদ্ধার ভিন্ রাজ্যের ১৮ যুবক
Kolkata News: প্রথমে এই ১৮ জন যুবককে বিমানবন্দর লাগোয়া দুটি হোটেলে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় নিউটাউনের ইকোপার্ক এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: দেশের অন্দরে নয়, একেবারে প্রবাসে ঝাঁ চকচকে জীবনের হাতছানি। সেই ফাঁদে পা দিয়ে চরম মূল্য দিতে হল বেশ কিছু যুবককে (International Job Fraud)। লক্ষ লক্ষ টাকা খোয়ানোর পাশাপাশি, নিদারুণ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হল তাঁদের (Physical Assault)। শহর কলকাতার বুকে তাঁদের সেই অবস্থা থেকে উদ্ধার করল পুলিশ। আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্র শহরে বাসা বেঁধেছিল বলে মনে করছে পুলিশ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে (Arrest)।
কলকাতায় আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের হদিশ মিলল
পুজোর মুখে শহর কলকাতায় এই আন্তর্জাতিক অপরাধচক্রের পর্দাফাঁস করল বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট (Kolkata News)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর প্রথম অভিযোগ জমা পড়ে। হরিয়ানার বাসিন্দা এক ব্যক্তি বিধাননগর কমিশনারেটে অভিযোগ করেন যে, তাঁর ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। আমেরিকায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে পুলিশকে জানান তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, অপহৃতকে কলকাতায় আনার পর তাঁর পরিবারের কাছে বিদেশি নম্বর থেকে একটি ভিডিও পাঠানো হয়। তাতে ওই যুবককে বলতে শোনা যায়, আমেরিকায় পৌঁছে গিয়েছেন এবং খুব ভাল ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু বিপত্তি বাধে এরপরই। পুলিশ সূত্রে দাবি, ভিডিও পাঠানোর কয়েকদিন পর, আর একটি ফোন আসে। তখন বলা হয়, ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। এমনকি মুক্তিপণ হিসেবে আরও ৩৫ লক্ষ টাকা চায় অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন: Madan Mitra: মহালয়ায় শুভেন্দু- দিলীপের ছবিতে মালা দিয়ে বাবুঘাটে তর্পণ মদন মিত্রের
এরপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। দিন কয়েক আগে, বিমানবন্দর এলাকা থেকে সুরেশ সিংহ, রাকেশ প্রসাদ সিংহ এবং ধীরজ দাস নামে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি, শনিবার রাত আড়াইটে নাগাদ তারা জানতে পারে, অপহৃত ১৮ জন ভিন্ রাজ্যের যুবককে কলকাতা বিমানবন্দর চত্বরে আনা হয়েছে। অগাস্ট মাসে পাঞ্জাব ও হরিয়ানার বাসিন্দা বেশ কয়েকজন যুবককে একই টোপ দিয়ে আনা হয় কলকাতায়। সুরেশ সিংহ, রাকেশ প্রসাদ সিংহ এবং ধীরজ দাস নামে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
অতর্কিতে হানা দিয়ে সকলকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, প্রথমে এই ১৮ জন যুবককে বিমানবন্দর লাগোয়া দুটি হোটেলে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় নিউটাউনের ইকোপার্ক এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে যুবকদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় অভিযুক্তরা। শুরু হয় মারধর। এমনকি হাত-পা বেঁধে রাখা হয় বলেও অভিযোগ।
এই ঘটনায় তিন জনক গ্রেফতার হয়েছেন
এই ঘটনায় পেশায় চিকিত্সক ও নিউটাউনের এই ফ্ল্যাটের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, এক মাসের জন্য ওই চিকিৎসকের থেকে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। পুলিশ মনে করছে, ভিন্ রাজ্যে অপহরণ করা হলেও, সেফ প্যাসেজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল কলকাতাকে। আরও কোনও অপহৃত এখনও এই চক্রের হাতে আটকে আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।