Raninagar : রানিনগরে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ির পিছনে বোমাবাজি ! বিস্ফোরণে উড়ল টিনের চাল
Bomb Blast : তৃণমূলী পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ, 'শ্বশুর কংগ্রেসে যোগ দিয়ে ভোটের আগে ভয় দেখাতে বোমাবাজি করিয়েছেন

রাজীব চৌধুরী, রানিনগর (মুর্শিদাবাদ) : পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর (Raninagar)। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ির পিছনে বোমাবাজি। বিস্ফোরণে উড়ল পঞ্চায়েত প্রধানের (Panchayat Pradhan) বাড়ির টিনের চাল। বোমাবাজির অভিযোগে নিজের শ্বশুরকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। তৃণমূলী পঞ্চায়েত প্রধানের অভিযোগ, 'শ্বশুর কংগ্রেসে যোগ দিয়ে ভোটের আগে ভয় দেখাতে বোমাবাজি করিয়েছেন। অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। এনিয়ে কংগ্রেসের (Congress) কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
গতকাল গভীর রাতে রানিনগর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান শেফালি খাতুনের বাড়ির পেছনে রাত ১২টা নাগাদ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের এতটাই তীব্রতা ছিল যে ঘরের টিনের চালা উড়ে যায়। হতাহতের কোনও খবর না থাকলেও, ঘটনা ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রধান এবং তাঁর বাড়ির লোকজন। পরে রানিনগর থানার পুলিশ যায়। সেখান থেকে একটি বোমা উদ্ধার করে। ঘটনার পেছনে প্রধানের শ্বশুরের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। প্রধানের স্বামী তথা স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমান সরাসরি বলেন, যাতে পঞ্চায়েত ভোটে তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউ প্রার্থী হতে না পারেন, তাই তাঁর বাবা এই ধরনের চক্রান্ত করেছেন। স্থানীয় কংগ্রেস-সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে এমনটা করেছেন।
রাতেই আনিসুর রহমানের বাবা অর্থাৎ প্রধানের শ্বশুরকে পুলিশ আটক করে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ পাওয়ার পরে তিনি গ্রেফতার হতে পারেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । এর পেছনে রাজনৈতিক কোনও অভিসন্ধি ছিল নাকি ব্যক্তিগত পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
এদিকে গতকালই ভরদুপুরে ভয়াবহ আগুনের (Massive Fire) গ্রাসে পড়ে রানিনগর ১ নম্বর ব্লকের লোচনপুর পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর এলাকা । আগুনে (Massive Fire) পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় ২৫টি বাড়ি। দমকল ও পুলিশ দেরিতে আসায় ক্ষোভ গিয়ে পড়ে পুলিশের গাড়িতে (Police Car)। একটি পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ।
শনিবার দুপুরে শ্রীরামপুর এলাকায় একটি বাড়িতে হঠাতই আগুন লেগে যায়। সেই আগুন ক্রমশই ভয়ানক আকার নেয়। আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে আশেপাশের বাড়িতে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। জল দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায় স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় দমকলেও। যদিও দমকল অনেক দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বলে অভিযোগ। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয়রা। সেই রোষ গিয়ে পড়ে পুলিশের গাড়িতে।
স্থানীয়দের দাবি, আগুনে পুড়ে গিয়েছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি বাড়ি। বাড়িতে থাকা একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে দাবি স্থানীয়দের। আগুনে পুড়ে গিয়েছে সমস্ত কিছুই। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে এলাকায় এই পরিবারগুলি। সরকারি সাহায্যের দিকেই তাঁকিয়ে অসহায় পরিবারগুলি।
আরও পড়ুন ; কোথা থেকে এল ৭.৬৫ এমএম পিস্তল ? প্ল্যান ভেস্তে দিল পুলিশ






















