Cattle Smuggling Case: বোলপুর থেকে চিনার পার্কে অনুব্রত, কাল সিবিআই-এর সামনে হাজিরা দেবেন! কাটছে না ধন্দ
Anubrata Mandal: গরু পাচার মামলায় এখনও পর্যন্ত অনুব্রকে ন’বার তলব করেছে সিবিআই।
মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ্ত আচার্য়, রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) সোমবার কি সিবিআই (CBI) দফতরে হাজিরা দেবেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal), রবিবার রাত পর্যন্ত কাটল না ধোঁয়াশা। এ দিন যদি বোলপুর থেকে চিনার পার্কে এসে পৌঁছেছেন বীরভূমের তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত, কিন্তু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সামনে তাঁর হাজিরা দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না। কারণ এখনও পর্যন্ত হাজিরা দেওা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি বলে জানিয়েছেন অনুব্রতর আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা।
সোমবার সিবিআই-এর সামনে হাজিরা দেওয়ার কথা অনুব্রতর
হাজিরা দিতে পারছেন না বলে এর আগে ইমেল মারফত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন অনুব্রত। কিন্তু এ দিন চিনার পার্কে তিনি এসে পৌঁছনোর পর হাজিরা দিতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছিল। সূত্রের খবর, সোমবার তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষারও কথা রয়েছে। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থা কেমন, হাজিরা দিতে পারবেন কিনা, সে সবের উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন অনুব্রতর আইনজীবী। অনুব্রত চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন, তাঁরাই তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিশদ তথ্য দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
গরু পাচার মামলায় এখনও পর্যন্ত অনুব্রকে ন’বার তলব করেছে সিবিআই। গত ১৯ মে গোয়েন্দাদের সামনে হাজিরা দেন তিনি। তার পর থেকে বীরভূমে অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি চলেছে। বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ এবং অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা কেরিম খান, তাঁর ছেলের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী জিয়াউল হক ওরফে মুক্তার এবং পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের তিনটি বাড়ি, অফিস এবং পেট্রোল পাম্পে যান গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: Madan on Partha: হেঁয়ালি ছেড়ে কার টাকা, কী বৃত্তান্ত জানান পার্থ, দাবি মদনের
গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, তল্লাশিতে ১৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ১০টি মোবাইল ফোন, কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক, পেনড্রাইভ, লকারের চাবি এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও পাওয়া গিয়েছে। তার পরই ফের অনুব্রতকে তলব করেন গোয়েন্দারা। তবে তিনি আদৌ হাজিরা দেবেন কিনা, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে।
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘ওঁর খাঁচা প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। সিবিআই-এর কাছে গেলে আর ফিরতে পারার সম্ভাবনা নেই। একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি, বলতে হবে।’’ যদিও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপি-র যে নেতারা বক্তৃতা করে বেড়াচ্ছেন, তাঁদের ভাষণ শুনে মনে হচ্ছে, দিল্লি থেকে ফিরে ওঁরাই সব এজেন্সির কর্তা হয়ে বসে রয়েছেন। প্রমাণ করে দিচ্ছেন, তাঁরা রাজনৈতিক ভাবে এজেন্সিকে পরিচালনা করছেন। তদন্ত নিয়ে তাঁরা আগে থেকে কথা বলছেন কী করে!’’
গরু পাচার মামলায় একাধিক বার তলব অনুব্রতকে
গরুপাচার মামলায় এনামুল হককে গ্রেফতারের পর জেরায় উঠে আসে অনুব্রতর নাম। এই মামলায় অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাই সোমবার অনুব্রত হাজিরা দেন কিনা, সে দিকে নজর সকলের।