Sandeshkhali CBI Complaint:সন্দেশখালিতে সিবিআইয়ের কাছে এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছশো অভিযোগ জমা, খবর সূত্রে
Sheikh Shahjahan:সন্দেশখালিতে সিবিআইয়ের কাছে এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছশো অভিযোগ জমা পড়েছে বলে খবর। কেউ ই-মেল, কেউ কেউ আবার সশরীরে অভিযোগ জানান, এমনই খবর।
কলকাতা: সন্দেশখালিতে সিবিআইয়ের কাছে (Sandeshkhali CBI Complaint) এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ছশো অভিযোগ জমা পড়েছে বলে খবর। গ্রামবাসীদের অনেকে সশরীরে অভিযোগ জানিয়েছেন, বাকিরা ই-মেল মারফৎ অভিযোগ রুজু করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিশেষ টিম তৈরি করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও ইকোনমিক অফেন্স ব্রাঞ্চের অফিসারদের দিয়ে টিমটি গঠন করা হয়েছে। ১২ জনের ওই বিশেষ টিমকে অভিযোগ খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জমি দখল, ভেড়ি দখল, নারী নির্যাতনের মতো ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে সন্দেশখালিতে।
শিরোনামে সন্দেশখালি...
গত ৫ জানুয়ারি যে ঘটনার পর থেকে শিরোনামে এসেছিল সন্দেশখালি, সময়ের সঙ্গে তাতে নিত্যনতুন শিউরে ওঠার মতো ঘটনার সংযোজন হয়েছে। রেশন-দুর্নীতি তদন্তে সন্দেশখালির একসময়ের দাপুটে নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। অভিযোগ, শাহজাহানের অনুচররাই তাঁদের উপর চড়াও হয়েছিল। তাদের মারধরের হাত থেকে বাঁচতে পারেননি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান, এমনকি খবর সংগ্রহের কাজে যাওয়া সাংবাদিকরাও। সেই শুরু। তার পর থেকে কার্যত চেহারা-ছবি পাল্টে যায় সন্দেশখালির। শেখ শাহজাহানের দ্রুত গ্রেফতারির দাবিতে রাস্তায় নামেন সাধারণ মানুষ যাঁদের অনেকেই ছিলেন মহিলা। কৃষি জমি দখল, খেলার মাঠ দখল থেকে শুরু করে নারী নির্যাতনের মতো একের পর এক ভয়াবহ সব অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে থাকে শাহজাহান অনুগতদের বিরুদ্ধে। তেতে ওঠে রাজ্য রাজনীতি, শিউরে ওঠেন রাজ্য়বাসী। ৫ জানুয়ারির ঘটনার ৫৬ তম দিনে গ্রেফতার করা হয় শাহজাহানকে।
দিনচারেক আগে, সন্দেশখালিতে জমি দখল, ধর্ষণ, চাষের জমি কেড়ে নেওয়ার মতো মারাত্মক অভিযোগ খতিয়ে দেখতে CBI তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি বলেন, ধর্ষণ, জমি দখল, চাষের জমিকে ভেড়িতে পরিবর্তন করা-সহ সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। নজিরবিহীন বিষয় ছিল, সন্দেশখালির বাসিন্দারা সরাসরি CBI-কে অভিযোগ জানাতে পারবেন। অভিযোগ নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাকে একটি পোর্টাল তৈরির জন্যও নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। অর্থাৎ সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে পুলিশের কার্যত আর কোনও ভূমিকা থাকল না ওই নির্দেশের পর! কারণ অভিযোগকারীরা তাঁদের অভিযোগ পুলিশ নয়, এবার থেকে সরাসরি CBI-কে জানাবেন বলা হয় রায়ে।
তার পরই জানা গেল, সাড়ে ৬০০ অভিযোগ জমা পড়েছে।
আরও পড়ুন:এবার বিজেপি কর্মীর ভেড়ির আলাঘরে আগুন, ফের তপ্ত সন্দেশখালি