Basirhat News: বসিরহাটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, ইটভাটার চুল্লিতে আগুন দিতেই বিস্ফোরণ, মৃত ৩
3 Died Basirhat Incident: মর্মান্তিক ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে, ইটভাটার চুল্লিতে বিস্ফোরণকাণ্ডে প্রাণ হারালেন ৩ জন, আহত একাধিক...
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বসিরহাটে ইটভাটার চুল্লিতে বিস্ফোরণ (Basirhat Incident)। বিস্ফোরণে ৩জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৫। বসিরহাটের ইটিন্ডায় ইট ভাটার চুল্লিতে আগুন দিতেই ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে ৬জন উদ্ধার করা হয়। পরে ধ্বংসস্তূপে আরও ২জনের দেহের হদিশ মিলেছে। জানা গিয়েছে, আহত ৫জনের মধ্যে ২জন সঙ্কটজনক। ইতিমধ্যেই তাঁদেরকে পাঠানো হয়েছে কলকাতায় (Kolkata)।
রাজ্যে একাধিকবার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তা সে রান্নার গ্যাস বাস্ট করেই হোক, কিংবা ভয়াবহ বাজি বিস্ফোরণ কাণ্ডেই হোক, একাধিকবার মৃত্যু দেখেছে বাংলা। এগরার খাদিকুল গ্রামে বাজি কারখানায় হয়েছিল ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Egra Blast)। এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে একাধিক জনের মৃত্যু হয়েছিল। নিরাপত্তা প্রশ্ন উঠেছে বারবার। কারণ অতীতের একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা এখনও শিহরণ তোলে। রক্তাক্ত শরীর, কান্না, মাটিয়ে দাপিয়ে চিৎকার মৃতের পরিবারের। অসংখ্য অসহায় পরিবারের এমন দৃশ্য বারবার ফিরে দেখেছে বাংলা।
স্মৃতি এখনও টাটকা। যদি ফ্ল্যাশব্যাকে একটু যাওয়া যায়, তাহলে দেখা যাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নোদাখালিতেও ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছিল। সাল ২০২১, পয়লা ডিসেম্বর। নোদাখালির সেই বিস্ফোরণের জেরে সেবার ৩ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। সাল ২০২২। অক্টোবারের ঠিক ১১ তারিখ। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল সেবার ২জনের। এবং সদ্য তেইশে পা রাখতেই মার্চ মাসেও প্রকাশ্যে আসে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মার্চের ২২ তারিখ মহেশতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু তিনজনের।
আরও পড়ুন, কুয়াশা কেটে উঠবে কি সোনা রোদ ? কেমন থাকবে আগামীকাল দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া ?
এদিকে, এগরা, বজবজের রেশ না মেলাতেই পুজোর আগে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল দত্তপুকুরের বেআইনি বাজি কারখানা (Duttapukur Incident)।এতটাই তীব্র ছিল বিস্ফোরণ যে তার অভিঘাতে একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছিল। ঘটনাস্থলে একাধিক দেহ ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। বিক্ষুব্ধ স্থানীয়দের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, শাসকদলের যোগসাজসেই এই বেআইনি বাজির কারবার চলত। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রত্য়ক্ষ মদতের অভিযোগ এনেছিলেন তাঁরা। নাম জড়িয়েছিল খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের। স্থানীয়দের বক্তব্য, তিনি সব জানতেন। তার পরও চলত বেআইনি বাজির কারবার। এই নিয়ে বার বার অভিযোগ জানিয়ে প্রশাসনের ঘুম ভাঙেনি প্রশাসনের, দাবি করছেন এলাকার স্থানীয়রা। বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাঁরা। ঘটনার পর বিক্ষোভের মুখে পড়েছিল পুলিশ।