Suvendu Adhikari: সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ, শহরে 'প্রতিবাদ' সমাবেশ শুভেন্দুদের
Suvendu Dilip in BJP s protest Rally: রাজ্য জুড়ে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলেই আজ রে রোডে প্রতিবাদ সমাবেশ শুভেন্দু-দিলীপদের

কলকাতা: আজ রেড রোডে বিজেপির (BJP) সংখ্যালঘু মোর্চার প্রতিবাদ সমাবেশ। এই সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। রাজ্য জুড়ে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলেই আজ রেড রোডে বি আর আম্বেদকর মূর্তির (BR Ambedkar) সামনে বিজেপির এই প্রতিবাদ সভা। সকাল ১০টায় সভা শুরু হওয়ার কথা।
রিষড়াকাণ্ডের পর শুভেন্দু বলেছিলেন, 'একটা বিশেষ সম্প্রদায়কে তৃণমূল কংগ্রেস, ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ভাল করে জানেন, এই সম্প্রদায়ের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন তিনি করতে পারেননি। তাই ২০২১ সালে এনআরসি-র (NRC) মিথ্যে ভয় দেখিয়ে তাঁদের ব্যাপক ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন।'
শুভেন্দুর সংযোজন, ' সাগরদিঘি নির্বাচন-উপনির্বাচনের পরে তিনি বুঝেছেন, যে পশ্চিম বাংলায়, সংখ্যাগুরু- সংখ্যালঘু শুধু নয়, প্রত্যেকটা সচেতন নাগরিক মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে হারাতে চান। স্বাভাবিকভাবে এই আতঙ্ক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার যে লোকাল নেতা কিছু আছে, তাঁদেরকে দিয়ে, এই জিনিসটা করাচ্ছেন।'
মূলত লোকসভা ভোটের আগে চলতি বছরে পাখির চোখ পঞ্চায়েত ভোট। আর সেই ভোটের আগে একাধিক ইস্যুকে ঢাল করে প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল। তার মধ্যে ডিএ ইস্য়ু থেকে নিয়োগ দুর্নীতি , আবাস দুর্নীতি কী নেই ? কেন্দ্রীয় প্রকল্প তো বটেই, পাশাপাশি বঙ্গে ঘটে চলা গরুপাচার, কয়লাপাচার-সহ একাধিক মামলায় চাপের মুখে শাসকদল। আর এমনই এক পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই 'নো ভোট টু বিজেপি' বলে স্লোগানে সরব শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, কুড়ি সালে বিশ্বে ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর নজর রাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত এই মার্কিন সংস্থা তাদের রিপোর্টে দিল্লি হিংসা ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। ওই রিপোর্টে ভারতকে তারা একটি বিশেষ সমস্যার দেশ হিসেবে বর্ণনা করে। পাশাপাশি, আরও ১৩টি দেশকেও একই তকমা দেওয়া হয়েছিল রিপোর্টে।
ইউএসসিআইআরএফ-এর সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, ২০১৯ সালে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিবেশের অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে অবনতি হয়েছে, যেখানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বেড়ে গিয়েছে। গত বছর এই সংস্থা অভিযোগ করেছিল, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতাকে খর্ব করার জন্য বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন করছে ভারত সরকার।
আরও পড়ুন, গুণের 'খনি', কিন্তু কখন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর কমলা লেবু ?
আরও পড়ুন, তাজা নাকি ফ্রিজের সবজি ? কোনটা উপকারী ?
তবে সেবার ভারতের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, 'আমরা ইউএসসিআইআরএফ-এর বার্ষিক রিপোর্টে পেশ করা পর্যবেক্ষণকে খারিজ করছি। ওই রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট।' বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছিলেন, 'ভারতের বিরুদ্ধে প্রবণতাযুক্ত মন্তব্য নতুন নয়। তবে, এক্ষেত্রে মিথ্যে বিবরণের মাত্রা নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে।'






















