Kunal Ghosh Meets Tapas Roy :তাপসের তৃণমূল ছাড়ার জল্পনা, বাড়ি গিয়ে বরফ গলাতে পারলেন কুণাল?
Tapas Roy likely to quit TMC : তাপস রায়ের বাড়িতে কুণাল ঘোষ, যিনি সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। কী কথা হল দুজনের ?
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : লোকসভা ভোটের ( Loksabha Poll ) আগে কি তৃণমূল ( TMC ) ছাড়তে পারেন তাপস রায় ( Tapas Roy ) ? এমনই জল্পনা ঘিরে হইচই পড়ে গেছে রাজ্য-রাজনীতিতে। রবিবার তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব একাধিকবার ফোন করলেও নাকি ধরেননি তাপস রায়! জানা গেছে, এরপরই একজন মন্ত্রীকে তাপস রায়ের বাড়িতে পাঠানো হয়। তা সত্ত্বেও বরফ গলেনি বলেই খবর। তাই এই প্রশ্ন যখন জোরালো হচ্ছে, তৃণমূল ছাড়তে পারেন তাপস রায়? তখনই তাঁর বাড়িতে কুণাল ঘোষ, যিনি সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
সোমবার সকাল সকাল তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে পৌঁছে যান ব্রাত্য বসু ও কুণাল ঘোষ। দুই জনের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয় তাঁর। সূত্রের খবর, ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ তাপস রায়কে বোঝানোর জন্যই গিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে। কিন্তু বেরিয়ে এসে কুণাল বললেন, 'দাদা-ভাইয়ের মধ্যে যা যা কথা হয়, তাই হয়েছে, অনুরোধ করেছি।' এর বেশি কিছু বলতে নারাজ কুণাল । তিনি বলেন, ' আমি তো চাইবই, দাদা যে অবস্থানে ছিলেন, সেখানেই থাকবেন।
দুজনের সঙ্গে কী কথা হয়েছে তা জানা না গেলেও, বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন, তাঁদের কি তাপস রায় তাঁর দল ছাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে দিয়েছেন? দল ছাড়ার প্রসঙ্গে কি অনড় তাপস ? তাপস রায় যদি তৃণমূল ছাড়েন, তাহলে তাঁর পরবর্তী গন্তব্য কোথায়? তিনি কি বিজেপিতে যেতে পারেন? এটাই এখন রাজনীতির অলিন্দে কোটি টাকার প্রশ্ন !
আরও পড়ুন, আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত, ভোটের ময়দানে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
তিন বছর আগে বরানগর থেকে জিতলেও তাপস রায়কে মন্ত্রী করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরোক্ষে অসন্তোষের সুর শোনা গিয়েছিল তাঁর গলায়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যাকে নিয়ে নানা মন্তব্য শোনা গিয়েছে তৃণমূল বিধায়কের কণ্ঠে।
২০০১ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন তাপস রায়। ২০১১ সালে উত্তর ২৪ পরগনার বরানগর থেকে প্রার্থী করা হয় তাঁকে। ২০১৬ সালে বরানগর থেকে দ্বিতীয় বার জয়ী হলে তাঁকে বিধানসভার পরিষদীয় দলের উপমুখ্যসচেতক করা হয়। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী করা হয় তাপস রায়কে। কিন্তু ২০২১ সালে তৃতীয়বার বরানগর থেকে জয়ী হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে আর মন্ত্রী করেননি মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, যা নিয়ে পরোক্ষে অসন্তোষও প্রকাশ করেছিলেন।