Paschim Bardhhaman: কুলটিতে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে
TMC Inner Conflict: কুলটিতে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। বঞ্চিত তৃণমূল কর্মীদের ব্যানারে সম্মেলনে তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এল ক্ষোভ।
কৌশিক গাঁতাইত, কুলটি: কুলটিতে (Kulti) তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব (TMC Inner Conflict) প্রকাশ্যে। বঞ্চিত তৃণমূল কর্মীদের ব্যানারে সম্মেলনে তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এল ক্ষোভ। ব্লক সভাপতি নির্বাচন নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করলেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা। একুশের ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ করেছিল, পাল্টা দিলেন তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান।
তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব আগেও...
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা আগেও বার বার উঠে এসেছে। গত ডিসেম্বরেই যেমন খড়গপুর, মেদিনীপুরের পর পূর্ব বর্ধমানের কালনায় তৃণমূলের গোষ্টীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। শাসকদলের নির্বাচিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন তৃণমূলেরই কাউন্সিলররা। কাউন্সিলরদের অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন পুর চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত। স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব নিয়ে পুরসভা পরিচালনা করা হচ্ছে। এনিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। এবার, চেয়ারম্য়ানের অপসারণের দাবি তুলে ক্ষোভ উগরে দিলেন, কালনা পুরসভার ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। বিক্ষুব্ধদের অন্যতম তথা কালনা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুনীল চৌধুরী বলেছেন, 'প্রায় ৯ মাস-১০ মাস কালনা পুরসভার কোনও উন্নতি হচ্ছে না। চেয়ারম্য়ান সহযোগিতা করছেন না। আমরা কেউ দলের বিরুদ্ধে না। আমরা চেয়ারম্য়ানের বিরুদ্ধে। সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। দলকে আগেও জানিয়েছি। কোনও ব্য়বস্থা নেয়নি। ইমিডিয়েট ওকে সরানো হোক, নাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।'
প্রকাশ্যে বিরোধ খড়গপুর, মেদিনীপুরেও
এর আগে, গত ২১ ডিসেম্বর, তৃণমূল পরিচালিত খড়গপুর পুরসভার চেয়ারম্য়ান, প্রদীপ সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন, ১৮ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাছে চিঠিও পাঠান, কাউন্সিলরদের একাংশ। এরপর, শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে, ইস্তফা দিতে হয় চেয়ারম্য়ানকে। তার পর তৃণমূল পরিচালিত, মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্য়ান সৌমেন খানের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাছে চিঠি লেখেন তাঁরই দলের ১১ জন কাউন্সিলর। এদিকে, কালনা পুরসভায় কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে পুর কর্মীরা। যার ফলে, চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। নতুন বছর পড়লেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে তৃণমূলের একের পর এক দ্বন্দ্ব বিজেপিকে কি বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেবে? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে। এর পর নতুন বছরের গোড়াতেই বাঁকুড়ার ইন্দপুরে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির নাম ঘোষণা নিয়ে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তোলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। প্রকাশ্যে না বলে দলের অন্দরে আলোচনা করা উচিত ছিল বলে দাবি করেন জেলা সভাপতি। ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন:নিজেকে 'অযোগ্য' বললেন, পাল্টে ফেললেন ট্যুইটার বায়ো, চমক রাহুলের