Saline Controversy: এবার ওষুধ ও স্যালাইনে 'ভেরিফায়েড স্ট্যাম্প' চালুর সিদ্ধান্ত, উদ্যোগ রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের
CNMC: মেদিনীপুর মেডিক্যালে এক প্রসূতির মৃত্যু ও তিন জনের আশঙ্কাজনক অবস্থার জন্য দায়ী পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি রিঙ্গার ল্যাকটেট।

সন্দীপ সরকার, কলকাতা: স্যালাইনকাণ্ডে তোলপাড়ের মধ্যেই এবার নতুন পদক্ষেপ নিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এবার থেকে হাসপাতালের স্টোর থেকে ওয়ার্ডে বা ওটিতে যাওয়ার আগে, প্রতিটি ওষুধ এবং স্যালাইনের বোতল ত্রুটি মুক্ত কিনা পরীক্ষা করে দেওয়া হবে ভেরিফায়েড স্ট্যাম্প।
নতুন পদক্ষেপ নিল সরকারি হাসপাতাল: মেদিনীপুর মেডিক্যালে এক প্রসূতির মৃত্যু ও তিন জনের আশঙ্কাজনক অবস্থার জন্য দায়ী পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি রিঙ্গার ল্যাকটেট। এই অভিযোগ ঘিরে তোলপাড়ের মধ্যেই অন্য সংস্থার তৈরি আরএল নিয়েও অভিযোগ উঠেছে ন্যাশনাল মেডিক্যালে। রবিবার রাতে প্রসূতি বিভাগের OT-তে অস্ত্রোপচারের আগে রিঙ্গার ল্যাকটেটে ভাসতে দেখা যায় সাদা পদার্থ। অভিযোগ সামনে আসতেই এবার পদক্ষেপ করল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এবার থেকে হাসপাতালের স্টোর থেকে ওয়ার্ডে বা ওটিতে যাওয়ার আগে, প্রতিটি ওষুধ এবং স্যালাইনের বোতল ত্রুটি মুক্ত কিনা পরীক্ষা হবে। অন ডিউটি নার্স এই পরীক্ষা করবেন। পরীক্ষায় স্যালাইন ও ওষুধ ক্রটিমুক্ত প্রমাণ হলে, বোতলের গায়ে "চেকড অ্যান্ড ভেরিফায়েড" স্ট্যাম্প মারা হবে। ওই স্ট্যাম্প থাকলে তবেই ওষুধ ও স্যালাইন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র মিলবে। শুধুমাত্র "চেকড অ্যান্ড ভেরিফায়েড" স্যালাইন-ই দেওয়া হবে রোগীদের। স্যালাইনকাণ্ডের পর রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালের থেকে স্টেটাস রিপোর্ট চেয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। ন্যাশনাল মেডিক্যাল সূত্রে খবর, তারা স্বাস্থ্য দফতরে রিপোর্ট দিয়ে এই পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে। সূত্রের খবর, ন্যাশনাল মেডিক্যালের এই নতুন মডেল সফল হলে, তা সব মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চালু করার কথা ভাবছে স্বাস্থ্য দফতর।
মেদিনীপুর মেডিক্য়ালের চিকিৎসকদের সাসপেনশন নিয়েও মামলা গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে। প্রসূতি মৃত্য়ুর ঘটনায়, চিকিৎসকদের সাসপেন্ড করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য় সরকার, তাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন এক সাসপেন্ডেড চিকিৎসক। সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যালে, এক প্রসূতির মৃত্য়ু ঘিরে, প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়। অভিযোগ ওঠে, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি নিষিদ্ধ রিঙ্গার ল্য়াকটেট স্য়ালাইন ব্য়বহারের। কিন্তু, এই ঘটনার জন্য় চিকিৎসকদের দায়ী করে রাজ্য সরকার। ১৩ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করে স্বাস্থ্য দফতর। এই সাসপেন্ডেড চিকিৎসকদের মধ্য়ে একজন, সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আদালতে পল্লবী দাবি করেছেন, তিনি প্রসূতিদের অ্যানাস্থেশিয়া করেছিলেন। অ্যানাস্থেশিয়ার কারণে প্রসূতির মৃত্যু হয়নি। তাঁকে অহেতুক সাসপেন্ড করা হয়েছে। সোমবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।






















