ABP Cvoter West Bengal Opinion Poll: কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে, দার্জিলিং, বহরমপুর, হুগলি, কৃষ্ণনগরে সম্ভাব্য জয়ী যাঁরা
Lok Sabha Elections 2024: এই সমীক্ষার সঙ্গে আমাদের এডিটোরিয়াল পলিসির কোনও সম্পর্ক নেই।
কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনে আর এক সপ্তাহ বাকি (Lok Sabha Elections 2024)। কে জিতবে, কে হারবে, সেই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সেই আবহেই হাতে এল সি ভোটারের সমীক্ষা। কোথায় কাকে এগিয়ে রাখা হচ্ছে, এই সমীক্ষায় তার আভাস মিলেছে। দার্জিলিং, কলকাতা দক্ষিণ, বহরমপুর, হুগলি এবং কৃষ্ণনগরে কোন দল সম্ভবত এগিয়ে থাকছে, দেখে নেওয়া যাক। (ABP Cvoter West Bengal Opinion Poll)
- আগামী ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ দার্জিলিংয়ে। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী গোপাল লামা, বিজেপি-র রাজু বিস্ত এবং কংগ্রেসের মুনিশ তামাং। সি ভোটার সমীক্ষা বলছে, দার্জিলিংয়ে সম্ভাব্য জয়ী রাজু বিস্ত।
- কলকাতা দক্ষিণে সপ্তম দফায় ভোটগ্রহণ ১ জুন। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী মালা রায়, বিজেপি-র দেবশ্রী চৌধুরী এবং সিপিএম-এর সায়রা শাহ হালিম। সমীক্ষা বলছে সেখানে সম্ভাব্য জয়ী মালা রায়।
- আগামী ১৩ মে, চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ বহরমপুরে। সেখানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বিজেপি-র প্রার্থী নির্মল সাহা। সমীক্ষা বলছে, অধীর সম্ভাব্য জয়ী বহরমপুরে।
-
হুগলিতে ভোটগ্রহণ ২০ মে, পঞ্চম দফায়। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি-র লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং সিপিএম-এর মনোদীপ ঘোষ। সমীক্ষা বলছে, হুগলিতে সম্ভাব্য জয়ী লকেট। তবে ৩ শতাংশ সুইং হলে ফলাফল পাল্টে যেতে পারে।
-
আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ কৃষ্ণনগরে। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র, বিজেপি-র অমৃতা রায় এবং সিপিএম প্রার্থী এস এম সাদি। সমীক্ষা বলছে, কৃষ্ণনগরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। ১ শতাংশ সুইং হলেই পাল্টে যেতে পারে ফলাফল। তবে সম্ভাব্য জয়ী হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন মহুয়া।
এই সমীক্ষার সঙ্গে আমাদের এডিটোরিয়াল পলিসির কোনও সম্পর্ক নেই। আমাদের জার্নালিস্টিক জাজমেন্টেরও কোনও জায়গাই নেই এখানে। সমীক্ষক সংস্থার দেওয়া সংখ্যাগুলো আমরা হুবহু সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরি মাত্র। কুড়ি বছর ধরে এই সমীক্ষা হয়ে আসছে। বহুবার মিলেছে, বহুবার মেলেনি। সমীক্ষা কখনও একশোয় একশো পেয়েছে, কখনও শূন্য পেয়েছে। কারণ সমীক্ষা কোনও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎবাণী নয়।
তাই একে ধ্রুবসত্য মনে করে উচ্ছ্বসিত, বা হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। এটা, মানুষ কী ভাবছেন, তার একটা আভাস পাওয়ার চেষ্টা মাত্র। কারণ সমীক্ষাই যদি ধ্রুবসত্য হত, তাহলে তো আর হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে ভোট করার দরকারই পড়ত না। আর সি ভোটারের এই সমীক্ষা যখন চলেছে, তখন অনেক দলেরই প্রার্থী ঘোষণা হয়নি, হেভিওয়েটদের ঝোড়ো প্রচারও তুঙ্গে ওঠেনি।
সি ভোটারের সমীক্ষকরা, রাজ্যের ৪২টি কেন্দ্রকে তিনটে ভাগে ভাগ করেছেন। কোনও দল, কোনও কেন্দ্রে, একেবারে স্পষ্টভাবে এগিয়ে থাকলে, সমীক্ষকরা তাকে বলছেন, Clear Winner, আমরা বলছি 'সম্ভাব্য জয়ী।' আবার জোর টক্কর হচ্ছে বেশ কিছু কেন্দ্রে, যেখানে তিন শতাংশ ভোটের স্যুইং হলে, সম্ভাব্য ফল মুহূর্তে পাল্টে যেতে পারে। আবার কিছু কেন্দ্রে টক্কর একেবারে হাড্ডাহাড্ডি, যেখানে মাত্র এক শতাংশ ভোটের স্যুইং, সম্ভাব্য ফল উল্টে দিতে পারে। কে জিতবে, কে হারবে, তা বোঝা যাবে ৪ জুনই, ফলপ্রকাশের পর।