CAA: মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যে বলছেন, কারও নাগরিকত্ব যাবে না : সুকান্ত
Sukanta On Mamata CAA: সিএএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর তীব্র আক্রমণ সুকান্তর, কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ?
কলকাতা: দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে সিএএ (CAA)। 'নির্বাচনের আগে কেন সিএএ কার্যকরের চেষ্টা ?' মূলত গতকালই নবান্নে জরুরী বৈঠক করে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী(CM Mamata Banerjee)। স্পষ্ট বলেছেন, 'কোনও বৈষম্য মেনে নেবেন না। এটা একটা রাজনৈতিক পরিকল্পনা, সেজন্যই নির্বাচনের মুখে এটা করার প্রয়োজন পড়েছে। এরপরেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সিএএ নিয়ে নাগরিকত্ব বাতিল হলে, তীব্র প্রতিবাদ করা হবে। সিএএ-র নামে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা চলবে না। এটা ছলনা। যারা বাংলা তথা দেশে বসবাস করেন, তাঁরা প্রত্যেকেই নাগরিক।' এরপরেই এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যে বলছেন, কারও নাগরিকত্ব যাবে না।'
এদিন সুকান্ত বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলছেন। ভোটে কিছু মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা। প্রতিবারই করেন, নতুন কিছু নয়। মিথ্যে কথা বলছেন। এবং আমরা যে, সিএএ-র মাধ্য়মে নাগরিকত্ব দেব বলেছি, নাগরিকত্ব পাবেন। কারও নাগরিকত্ব যাওয়ার ১ শতাংশও সম্ভাবনা নেই। মুখ্যমন্ত্রী যে মিথ্যে কথা বলছেন, সেটা আমরা কাগজে-কলমে প্রমাণ করে দেখিয়ে দেব। আগামী দুই বছরের মধ্যে অ্যাপ্লাই করে নাগরিকত্ব পেয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন, কারও নাগরিকত্ব বাতিল হচ্ছে, এই সিএএ-র ফলে, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে আমরা কান ধরে উঠবোস করতে রাজি আছি।'
উল্লেখ্য, দু'হাজার উনিশ সালে, দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে CAA পাস করায় নরেন্দ্র মোদি সরকার। দু'হাজার চোদ্দ সালের একত্রিশে ডিসেম্বরের পর পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হিন্দু , শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্যই CAA। রাজ্য় সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'এর মাধ্য়মে যারা উদ্বাস্তু মানুষ আছে, যারা বাংলাদেশ থেকে, ওপার থেকে ধর্মীয় কারণে এপারে আসতে বাধ্য় হয়েছেন, তাঁদেরকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কারও নাগরিকত্ব এর ফলে যাবে না। এবং এবার প্রমাণিত হয়ে যাবে সেইসময় মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় মিথ্য়া কথা বলেছিলেন, মুসলিমদের মিথ্য়া কথা বলে উস্কেছিলেন।'
আরও পড়ুন, অর্জুনের বিজেপিতে যাওয়া ঠেকাতে মরিয়া তৃণমূল
প্রসঙ্গত, ফের বালুরঘাট আসন থেকেই লোকসভা ভোটে লড়ছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রার্থী পদ ঘোষণার পর প্রথমবার নিজের এলাকায় এলেন সুকান্ত। আজ সকালে বালুরঘাট স্টেশন থেকে কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে বাইক র্যালি করে জেলা পার্টি অফিসে আসেন তিনি। উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই দ্বিতীয়বারের জন্য তিনি ভোটে লড়বেন জানিয়েছেন বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী।তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রী ও হরিরামপুরের বিধায়ক বিপ্লব মিত্র। ২০১৯-এ তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০২০-তে ফের তৃণমূলে ফেরেন। মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রকে তৃণমূল লোকসভা আসনে দাঁড় করানোয় জেলারই ক্ষতি বলে দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদার।