(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Panchayat Election: অপসারণের নির্দেশ ছিল অভিষেকের, কাঁথির ২ 'নির্দল'-র বিরুদ্ধে প্রার্থী দিল না তৃণমূল
Abhishek Banerjee: দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরও তাঁদের নাম প্রার্থীতালিকায় ছিল বলে খবর।
ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগ ওঠায় পদত্যাগের (Resignation) নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তার পরও তাঁদের নাম প্রার্থীতালিকায় ছিল বলে খবর। তবে আখেরে দলীয় প্রতীকে লড়ছেন না কেউই। যদিও কাঁথির (Contai) ওই দুই নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী দেয়নি তৃণমূল।
কী ঘটেছিল?
কাঁথির মারিশদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুনুরানি মণ্ডল গ্রাম সংসদের আসনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে এবারের ভোটে লড়ছেন। তাঁর প্রতীক, আম। অন্য দিকে, কাঁথি ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসনে দুটি পাতা ও একটি কুঁড়ি প্রতীক নিয়ে নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছেন অঞ্চল সভাপতি গৌতম মিশ্র। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই দু'টি আসনের কোনওটিতেই প্রার্থী দেয়নি তৃণমূল। গত ৩ ডিসেম্বর, কাঁথিতে সভা করতে গিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূলের এই দুই নেতা-নেত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরও ওই ২ জনের নাম ছিল তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায়। শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রতীকে না লড়লেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থীও দাঁড় করাল না জোড়াফুল শিবির। সব মিলিয়ে তাই একাধিক প্রশ্ন উঠছে।
কী বলেছিলেন অভিষেক?
ডিসেম্বরের ওই সভায় অভিষেক বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে কোনও ভাবেই তিনি দুর্নীতির সঙ্গে আপস করবেন না। তৃণমূল সর্বভারতীয় সভাপতির বক্তব্য, 'মানুষ যাদের সার্টিফিকেট দেবেন, তাঁরাই পঞ্চায়েতে দাঁড়াবেন। দাদা-দিদির পায়ে ধরে টিকিট পাওয়া যাবে না।' পূর্ব মেদিনীপুরে দুর্নীতির অভিযোগ যে সবথেকে বেশি, সেটা তাঁর দাবিতেই স্পষ্ট।‘ তবে সবটা ফের নতুন করে শুরু করতে হবে, একথাও মনে করিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তাঁর চাঁচাছালা অভিযোগ ছিল, 'কলেজের গার্লস হস্টেল তৈরিতে ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার টেন্ডার। নিয়মবহির্ভূত ভাবে ৮৫ লক্ষ টাকা বেশি খরচ দেখানো হয়।' শোনা যায় স্বীকারোক্তিও, ‘একটা পরিবারের উপর ভরসা না করে গ্রামে গিয়ে নেতাদের দেখা উচিত ছিল। একটি পরিবারের উপর ভরসা করার জন্য মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি।' একই সঙ্গে ওই সভার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মারিশদায় পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানের ইস্তফা দাবি করেন তিনি। সঙ্গে সংযোজন, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকেও ইস্তফা দিতে হবে। দুর্নীতি-প্রশ্নে তৃণমূল যে আপস করে না তা বোঝাতে অভিষেকের বার্তা,'ইডি-সিবিআই যতবার ডেকেছে গিয়েছি, মাথা নত করিনি।’
আরও পড়ুন:কর্মসূত্রে প্রচুর বাইরে যেতে হয়? নজরে থাকুক এই বিষয়গুলি