Panchayat Election: শ্বশুর বিজেপির প্রার্থী, জামাই তৃণমূলের! ভোটের লড়াইয়ে চমক মথুরাপুরে
South 24 Parganas:শ্বশুর-জামাইয়ের এই লড়াইয়ের মাঝে পড়েছেন পালানবাবুর মেয়ে অর্থাৎ সুষেনজিৎ মন্ডলের স্ত্রী।
গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত নির্বাচন। জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেখানেই একটি বুথে পরস্পর যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁরা সম্পর্কে শ্বশুর-জামাই। তৃণমূলের প্রতীকে লড়ছেন জামাই সুষেণজিৎ মণ্ডল। আর বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন তাঁরই শ্বশুর পালান পাইক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে শ্বশুর- জামাইয়ের লড়াই। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর-২ ব্লকের নন্দকুমারপুর পঞ্চায়েতের ২৭৩ নম্বর বুথ। এই বুথেই মুখোমুখি লড়াই শ্বশুর ও জামাইয়ের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূলের খাসতালুক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব থেকেই বারবার নানা কারণে শিরোনামে থেকেছে এই জেলা। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দকুমারপুরের এই বুথ বরাবরই বামেদের দখলে থাকে। সিপিএমের হয়ে গত দুবার জিতেছিলেন পালান পাইক। কিন্তু তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন পরে। আর এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির প্রতীকেই প্রার্থী হয়েছেন তিনি। শ্বশুরের বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছেন তাঁরই জামাই সুষেণজিৎ মণ্ডল, তিনি তৃণমূলের প্রার্থী। ব্যক্তিগত সম্পর্ক অন্য জায়গায় থাকলেও রাজনীতির ময়দানে কেউ কাউকে এতটুকু ছাড় দিচ্ছেন না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দকুমারপুরের এই বুথ বরাবরই বামেদের দখলে। কিন্তু সিপিএমের বিগত দুবারের বিজয়ী প্রার্থী পালান পাইক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনে বিজেপির প্রতীকে লড়াই করছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধেই প্রচারে সুর চড়াচ্ছেন জামাই সুষেনজিৎ মন্ডল।
তবে দুই প্রার্থীই সারাদিন ধরে প্রচার চালালেও রাজনীতির বাইরে গিয়ে শ্বশুর-জামাইয়ের সম্পর্কে কোনও চিড় ধরেনি। তৃণমূল প্রার্থী বলেছেন, 'সরকারের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। এলাকার মানুষ আমাকেই ভোট দিয়ে জেতাবেন।' অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী পালান পাইক বলেন, 'তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছি। তবে শ্বশুর ও জামাইয়ের সম্পর্কে কোনও ফাটল ধরবেন না।'
শ্বশুর-জামাইয়ের এই লড়াইয়ের মাঝে পড়েছেন পালানবাবুর মেয়ে অর্থাৎ সুষেনজিৎ মন্ডলের স্ত্রী। তিনি কার পাশে আছেন? এই ব্যাপারে কিন্তু স্বামীর পাশে রয়েছেন তিনি। শ্বশুর আর জামাইয়ের এই লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসবেন তার জন্য অবশ্য অপেক্ষা করতে হবে ১১ জুলাই পর্যন্ত।
জায়ে জায়ে যুদ্ধ:
পারিবারিক সম্পর্কে তারা দুই জা। একটা সময় তারা দুজনে মিলে সামলেছেন ঘর সংসার। ভাগাভাগি করে কেউ করতেন রান্না-বান্না, কেউ বা ধোয়ামোছা। কিন্তু বছর কয়েক আগে তাঁদের সংসার আলাদা হয়ে গেলেও দুই'জায়ের মধ্যে সম্পর্কে কখনও চিড় ধরেনি। এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের এই দুই গৃহবধূ পাপিয়া দাস ও শ্রাবন্তী দাস রাজনীতির ময়দানে পরষ্পরের প্রতিপক্ষ। মহিষাদলের সতীশ সামন্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের কমলপুর গ্রাম সংসদের ২০ নং বুথে বড় জা পাপিয়া লড়ছেন তৃণমূলের প্রতীকে, আর ছোট জা শ্রাবন্তী লড়ছেন বিজেপির টিকিটে। দুই জা-ই এবারে লড়াইয়ের ময়দানে নবাগত।