Jonogorjon Sobha: তৃণমূলের জনগর্জনে ব়্যাম্প-চমক! জনসংযোগের নয়া কৌশল?
TMC Brigade Rally: এবারের অন্যতম আকর্ষণ ব়্যাম্প। মূল মঞ্চের সঙ্গে তৈরি হয়েছে সেই ৩২০ ফুট লম্বা র্যাম্প। এর ডান দিকে ও বাঁ দিকে আরও দু'টি ছোট র্যাম্প থাকছে।
কলকাতা: আজ ব্রিগেডে তৃণমূলের 'জনগর্জন' সভা। তার আগে শনিবার সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সভা দিয়েই কার্যত লোকসভা ভোটপ্রচার শুরু করে দিচ্ছে তৃণমূল। সূত্রের খবর এদিনই প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করতে পারে তৃণমূল। এবারের ব্রিগেড আরও একটি কারণে নজরে পড়ছে, তা হল মঞ্চসজ্জা। এই প্রথম তৃণমূলের ব্রিগেডের (TMC Jonogorjon Sobha) সভায় থাকছে র্যাম্প। মঞ্চ থেকে সোজা জনতার মাঝে চলে যেতে পারবেন নেতা-নেত্রীরা।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভার পরের দিন, হাইভোল্টেজ রবিবার, ব্রিগেডে (TMC Brigade Rally) তৃণমূলের মেগা-সভায় অন্যতম আকর্ষণ মঞ্চসজ্জা। জনসংযোগে নতুন চমক রয়েছে তাতে। এই প্রথম তৃণমূলের ব্রিগেডের সভায় থাকছে ব়্যাম্প। যার ফলে মঞ্চ থেকে সোজা জনতার মাঝে চলে যেতে পারবেন নেতা-নেত্রীরা।
কেমন হয়েছে মঞ্চ?
ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সমাবেশে মোট ৩টি মঞ্চ তৈরি হয়েছে। মূল মঞ্চের পাশে থাকছে আরও ২টি মঞ্চ। এবারের অন্যতম আকর্ষণ ব়্যাম্প (Ramp in TMC Brigade)। মূল মঞ্চের সঙ্গে তৈরি হয়েছে সেই ৩২০ ফুট লম্বা র্যাম্প। এর ডান দিকে ও বাঁ দিকে আরও দু'টি ছোট র্যাম্প থাকছে। বক্তব্য রাখার সময় হাঁটতে হাঁটতে ভিড়ের মাঝে চলে যেতে পারবেন নেতা-নেত্রীরা। কর্মী-সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করতে ব়্যাম্প দিয়ে হেঁটে তাঁদের মাঝে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা থেকেই এমন বলে মনে করা হচ্ছে। মূল মঞ্চের ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকছে LED স্ক্রিন। এর পাশাপাশি থাকছে দলের সভার ব্যাকগ্রাউন্ড। সেখানে লেখা থাকবে, 'জনতার গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন'।
আগের দিন থেকেই কর্মীরা আসতে শুরু করেছেন কলকাতায়। রবিবার সকালে সেই ভিড় আরও বেড়েছে। ভোর থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে এসে পৌঁছচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। ট্রেনে-বাসে আসছেন তাঁরা। আগের দিন যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল একাধিক জায়গায়। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, উত্তীর্ণ-সহ বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কর্মীদের থাকার
ব্যবস্থা করা হয়েছে। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে মুর্শিদাবাদ এবং মালদার তৃণমূলকর্মীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শনিবার ক্যাম্পগুলিও ঘুরে দেখেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ব্রিগেড নিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, 'অনেকদিন বাদে আমরা ব্রিগেড করছি এবং সেই ব্রিগেড হচ্ছে বাংলার বঞ্চনার প্রতিবাদে, জনগর্জন অর্থাৎ বাংলার জনতা গর্জন করবে, ওই ব্রিগেডে যে বাংলাকে বঞ্চনা করছ কেন নরেন্দ্র মোদি জবাব দাও? লোকসভার আগে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ, তার আগে মানুষকে জানাতে হবে যে, বাংলাকে কীভাবে কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চনা করছে।'
এদিনই সন্দেশখালিতে সভা রয়েছে বিজেপির। সেখানে থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূলের সভাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দুর খোঁচা, 'এটা ওদের শেষ শোকসভা হচ্ছে। এটা জনগর্জন সভা না, এটা চোরেদের বিসর্জন সভা। কালকে সবাই জামাকাপড় বাইরে শুকোতে দিতে পারেন, গরু ছেড়ে রাখতে পারেন। কালকে কোনও চোর বাড়িতে থাকবে না। কালকে পশ্চিমবঙ্গে কোনও চুরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।'
তৃণমূল ব্রিগেড উপলক্ষে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা করা হয়েছে। ড্রোনের পাশাপাশি, বহুতল থেকেও নজরদারি করা হবে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: রবিবার তৃণমূলের 'জনগর্জন' , কোন কোন রাস্তা এড়িয়ে চলবেন ?