WB Election 2021: বাংলায় যারা ধর্ম নিয়ে খেলা করে, এবার তাদের খেলা শেষ হবে: দেব
West Bengal Assembly Election 2021: দাঁতনে তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে গিয়ে বিজেপিকে বিঁধলেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব।
অমিত জানা, দাঁতন: ‘বাংলায় যারা ধর্ম নিয়ে খেলা করে, এবার তাদের খেলা শেষ হবে।’ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে গিয়ে বিজেপি-কে বিঁধলেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব। মৌলবী ভাতা, পুরোহিত ভাতার নামে মুখ্যমন্ত্রীই রাজ্যে ধর্মের রাজনীতি শুরু করেছেন। তাঁর সেই খেলা শেষ হবে এবার। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি।
তারকা অভিনেতা। তৃণমূলের তারকা সাংসদও। তিনিই এখন ব্যস্ত বিধানসভা ভোটের প্রচারে। চৈত্রের খটখটে রোদ গায়ে মেখে দাঁতনের তুরকা গ্রামে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচার করলেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী তথা দেব। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল এবার প্রার্থী করেছে বিক্রম চন্দ্র প্রধানকে। দশ দিনের মাথায় দাঁতনে ভোট। তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে দলের ‘খেলা হবে’ স্লোগানকে হাতিয়ার করেই বিজেপিকে বিঁধলেন দেব।
গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করে দেব বলেন, ‘মানুষের জন্য উন্নয়ন, এইটা নিয়ে খেলা হবে। বাংলায় যারা ধর্ম নিয়ে খেলা করে তাদের খেলা শেষ হবে। বাংলায় ধর্ম নিয়ে যারা রাজনীতি করে তাদের কোনও স্থান নেই। বাংলায় শান্তির খেলা হবে।’
পাল্টা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপি সহ-সভাপতি অরূপ দাস কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘যারা আজকে বলছে, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি যারা করে তাদের খেলা শেষ, তারা ঠিকই বলেছে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই মৌলবী ভাতা, পুরোহিত ভাতা, দুর্গাপুজোয় চাঁদা, ইদে চাঁদা, এই সব ধর্মীয় ভাবাবেগ কাজে লাগিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন। তাই পশ্চিমবঙ্গে যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে, তাদের খেলা শেষ হবে। এটা দেববাবু ঠিকই বলেছেন।’
দাঁতনে নির্বাচনী প্রচারে, উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান ইস্যুতেও বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়েছেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, ‘যারা আজকে সোনার বাংলা গড়বে বলছে, ২০১৪ সালে তারা বলেছিল সোনার চিড়িয়া বানানোর কথা। দেশের অর্থনীতির অবস্থা ৭০ বছরে একেবারে খারাপ। এরাই আবার বলছে সোনার বাংলা গড়বে? বিজেপি বছরে দু’কোটি চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিল। গুগলে দেখে নিন, বেকারত্বের হার ৫০ বছরের থেকেও খারাপ। ইলেকশনের আগে আবার বলছে চাকরি দেবে। মিথ্যে প্রচার করছে।’
পাল্টা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপি সহ-সভাপতি বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প সঠিক ভাবে প্রত্যেকের কাছে পৌঁছেছে। দুর্ভাগ্যের বিষয়, এরাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্প চুরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, জনধন যোজনা, স্বচ্ছ ভারত মিশনের আওতায় শৌচালয়, জনধন যোজনার টাকা তৃণমূল নেতাদের অ্যাকাউন্টে কাটমানি হিসেবে চলে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে শিল্পকে ধ্বংস করেছেন মমতা।’
২৭ মার্চ প্রথম দফার নির্বাচনেই ভোটগ্রহণ রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে। প্রচারকে ঘিরে এখন থেকেই তপ্ত হয়ে উঠছে সেখানকার মাটি।