Bhaswar Chatterjee on Tarun Majumdar: 'আলো মুক্তির আগে তরুণ মজুমদার বলেছিলেন, আমার ছবি কি কেউ দেখবে?'
Bhaswar Chatterjee on Tarun Majumdar demise: তখন মোবাইল ছিল না, ল্যান্ডফোনেই প্রথম ফোনটা এসেছিল। ২০ বছর আগে ফোনের ওপার থেকে, 'আমি তরুণ মজুমদার বলছি' শুনে যেন দম বন্ধ হয়ে এসেছিল অভিনেতার।
![Bhaswar Chatterjee on Tarun Majumdar: 'আলো মুক্তির আগে তরুণ মজুমদার বলেছিলেন, আমার ছবি কি কেউ দেখবে?' Bhaswar Chatterjee on Tarun Majumdar: Actor Bhaswar Chatterjee shares his memory of working with Tarun Majumdar Bhaswar Chatterjee on Tarun Majumdar: 'আলো মুক্তির আগে তরুণ মজুমদার বলেছিলেন, আমার ছবি কি কেউ দেখবে?'](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/07/04/6a16c88c2c433b10ba164f858eecd5891656941591_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: আজ সকালে দুঃসংবাদটা শুনতেই তাঁর মনে ভিড় করে এসেছিল একরাশ স্মৃতি আর মনখারাপ। তখন মোবাইল ছিল না, ল্যান্ডফোনেই প্রথম ফোনটা এসেছিল। ২০ বছর আগে ফোনের ওপার থেকে, 'আমি তরুণ মজুমদার বলছি' শুনে যেন দম বন্ধ হয়ে এসেছিল অভিনেতার। কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar)-এর প্রয়াণের পরে, ২০ বছর আগের স্মৃতি ছবির মতোই মনে পড়ে যাচ্ছিল অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় (Bhaskar Chatterjee)-এর। সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরনো একটা ছবির সঙ্গে স্মৃতির সবটা লিখে ফেললেন ভাস্বর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাস্বর লিখছেন, 'কি বলব, কোথা থেকে শুরু করব বুঝতে পারছি না। আজ থেকে ঠিক ২০ বছর আগে আমার ল্যান্ডলাইন বেজে উঠেছিল আর তারপর ওপাশ থেকে একজনের গলা, 'আমি তরুণ মজুমদার বলছি'। আমার অফিসে একবার আসতে পারবেন? গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোয়নি ১ মিনিট। যেদিন 'আলো' ছবির চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলাম, সেদিন চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি। ওনার ছবিতে কাজ করা মানে অনেক কিছু পাওয়া। সত্যি তো তাই। বকুনি খেয়েছি, ভালবাসা পেয়েছি ঢের। আলো ছবির চিত্রনাট্যের একটা অংশ আমার কাছে আছে, যা সারা জীবনের সম্পদ হয়ে রইল। মনে আছে বিজলী সিনেমা হলে আলো মুক্তি পাওয়ার ঠিক আগে আমাদের বলেছিলেন, এই যুগে আমার এই ছবি কি কেউ দেখবে? আর ছবি মুক্তির পর যা হল তা ইতিহাস। নতুন প্রজন্মের ছেলেরা ওনার হাত ধরে বলত, কেন এত কাঁদালেন? ভাল থাকবেন জ্যেঠু।'
আরও পড়ুন: Release Date: ৮ জুলাই বড়পর্দায় আসছে পরাণ-লিলির 'সার্কাসের ঘোড়া'
তরুণ মজুমদারের প্রয়াণের পরে এবিপি আনন্দকে অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (Chiranjeet Chakraorty) বলছেন, 'নক্ষত্রপতন ঘটল আবার। আবার আমরা নিঃস্ব হলাম। মানুষটাকে এত বছর ধরে, আমার সারা জীবন ধরে অনুসরণ করেছি, ওনার থেকে নিষ্ঠা শিখেছি। উনি ছিলেন আমাদের শিক্ষক আমাদের গুরু। ওঁর পরিচালনায় আমার কাজ করা হয়ে ওঠেনি কখনও কিন্তু আমি ওঁর ছবির বিশাল বড় ভক্ত ছিলাম। উনি এত ধরণের ছবি করেছেন, শুধু সেগুলো দিয়েই একটা গোটা চলচ্চিত্র উৎসব করা যায়। আমরা করব। আবার ওঁর ছবি দেখব, সমৃদ্ধ হব।'
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)