(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Devi Chowdhurani Exclusive: ঘন জঙ্গলে সাপের উপদ্রব! চিকিৎসক, অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে দেবী চৌধুরানীর শ্যুটিংয়ের পরিকল্পনা শুভ্রজিতের
Shrabanti-Prosenjit: এমন এলাকায় শ্যুটিং মানেই অভিনেতা অভিনত্রী ছাড়াও প্রচুর মালপত্রের প্রয়োজন। যেখানে গাড়িই যেতে পারে না, সেখানে শ্যুটিং সম্ভব কিভাবে?
কলকাতা: ইতিহাস আর সাহিত্য মিশে রয়েছে যে গল্পে.. তাকে পর্দায় তুলে ধরা সহজ নয় মোটেই। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বঙ্কিম সাহিত্য। সেই সাহিত্যিকেরই রচিত কিংবদন্তি চরিত্র 'দেবী চৌধুরানী'-কে রুপোলি পর্দার ফ্রেমে বাঁধার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র (Subhrajit Mitra)। নভেম্বরে শুরু ছবির শ্যুটিং, কিন্তু ইতিমধ্যেই জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতিপর্ব। গল্পে ২৫০ বছর আগের যে ছবি তুলে ধরা হয়েছে, সেখান থেকে আমূল বদলে গিয়েছে বর্তমানের সেই সমস্ত জায়গার ছবি। রেকিতে বেরিয়ে, পুরুলিয়া, বীরভূম, ঝাড়খণ্ড ঘুরে শ্যুটিং লোকেসন ঠিক করে ফেলেছেন পরিচালক। কিন্তু কী কী প্রতিবন্ধকতা ছিল সেই পথে? এবিপি লাইভের (ABP Live) সঙ্গে সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন শুভ্রজিৎ।
যে যে জায়গা শ্যুটিংয়ের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে, তা মোটেই জনপদের মাঝখানে নয়, ফলে প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে প্রচুর। শুভ্রজিৎ বলছেন, 'রেকিতে বেরিয়ে আমি ও আমার টিমকে হামেশাই পায়ে হেঁটে স্পটে পৌঁছতে হচ্ছিল। বেশিরভাগ জায়গার পথই গাড়ি চলার জন্য অনুকূল নয়। মানুষের রোপণ করা নয়, আমাদের প্রয়োজন ছিল পুরনো জঙ্গলের। দেবী চৌধুরানীতে যে সময়কালের কথা বলা হয়েছে, তখন বাংলার দৃশ্যই অন্যরকম ছিল। এখন অধিকাংশ বনই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, তিস্তা সরে এসেছে। এক একটা দৃশ্যের জন্য আমাদের একাধিক লোকসনেরও প্রয়োজন হতে পারে। তবে রেকিতে গিয়ে বুঝলাম, কেবল গাছ বা পথের বাধা নয়, অধিকাংশ স্থানই বিপদসংকুল। কেউটে আর গোখরো সাপের আড্ডা। ভীষণ সাবধানে পা ফেলে চলতে হচ্ছিল। রোদচশমা পর্যন্ত খুলতে পারছি না ভয়ে, যদি গাছ থেকে সাপ ছোবল মারে!'
এমন এলাকায় শ্যুটিং মানেই অভিনেতা অভিনত্রী ছাড়াও প্রচুর মালপত্রের প্রয়োজন। যেখানে গাড়িই যেতে পারে না, সেখানে শ্যুটিং সম্ভব কিভাবে? পরিচালক বলছেন, 'জায়গা পাকা করে আলাদাভাবে সেখানে পথ বের করার কাজ করতে হবে। জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে অন্তত পায়ে চলা পথ বের করতে হবে। কার্যত রাজসূয় যজ্ঞ যাকে বলে। আমি সাপের এলাকায় গিয়েছি, গরমের দুপুরে পুরুলিয়া পাহাড়ে উঠেছি ট্রেক করে, কাঁটাঝাড় পেরিয়ে স্পটে পৌঁছেছি। কিন্তু আমার শিল্পীদের কখনোই সেই বিপদের মধ্যে ফেলব না আমি। শ্যুটিংয়ের অনুকূল করে তবেই কাজ শুরু করব। তবে যে অভিজ্ঞতা হত, তাতে টিমের সঙ্গে সবসময় একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, অ্যাম্বুল্যান্স আর অ্যান্টি ভেনম ইন্জেকশন (সর্পদংশনের চিকিৎসায় যে ওষুধ ব্যবহৃত হয়) রাখতে হবে।'
কলকাতাতেও জোরকদমে চলছে শিল্পীদের প্রশিক্ষণ। পরিচালক বলছেন, হিন্দি ছবির মতো প্রেক্ষাপট ভাবলেও, মাথায় রাখতে হচ্ছে বাজেটের কথা। কিন্তু একটা জাতীয় পুরস্কার আমার ঝুঁকি নেওয়ার খিদে বাড়িয়ে দিয়েছে।'