জুহু-তে ছবি তুলতে গিয়ে দারোয়ানের ঘাড় ধাক্কা খেয়েছিলেন, ৩২ বছর পর সেখানেই বাংলো অক্ষয়ের
নায়ক হওয়ার আগে তিনি এক চিত্রগ্রাহকের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।
মুম্বই: সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই স্বজনপোষণ ইস্যুতে কাঠগড়ায় বলিউড। ‘আউটসাইডার’-দের নাকি যশরাজের মতো ‘জায়েন্ট’-রা জায়গা দেয় না! বাবা, দাদা, কাকা থাকার সুবাদে অনেক বেশি সুযোগ দেওয়া হয় বি-টাউনের নবীনদের। কর্ণ জোহর, আদিত্য চোপড়ার মতো বড় বড় নামের বিরুদ্ধে উঠছে এমনই অভিযোগ। নিশানা করা হচ্ছে সোনম কপূর, আলিয়া ভট্টদেরও। নেটিজেনদের আক্রমণের সামনে পড়তে হয়েছে স্বয়ং সলমন খানকেও। যার মদ্দা কথা, স্ট্রাগলাররা বলিউডে পাত্তা পায় না। প্রতিভা থাকলেও হারিয়ে যায় অনেকেই। এই আবহেই নিজের জীবনের স্ট্রাগলের একখণ্ড অভিজ্ঞতা জনসমক্ষে আনলেন বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার।
আরও পড়ুন: এভাবে কাজ মেলে টলিউডে? শ্রীলেখার অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা তোপ স্বস্তিকার
নায়ক হওয়ার আগে তিনি এক চিত্রগ্রাহকের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। মাসের পর মাস, পারিশ্রমিক নিতেন না, স্রেফ এই ভেবে যদি ফ্রি-তে একটা ফটোশ্যুট করা যায়।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড মহেশ ভট্ট
জয়েশ নামের এক ফটোগ্রাফারকে তিনি বলেন, "পারিশ্রমিক দিতে হবে না, কিন্তু আমার একটা ফটোশ্যুট করে দাও।" আলোকচিত্রী রাজি হওয়াতে মুম্বইয়ের জুহু-তে ফটোশ্যুট করতে যান অক্ষয়। সেখানে ছবি তোলার সময় এক দারোয়ানের ঘাড় ধাক্কা খেতে হয়েছিল তাঁকে। আজ ৩২ বছর পর সেখানেই এক বিলাসবহুল বাংলো রয়েছে অক্ষয় কুমারের। তিন দশেক আগে যেখানে বিতারিত হয়েছিলেন, বছর পাঁচেক আগে সেখানেই আবার ছবি তুলেছিলেন। কাছেই তার বাংলো। ওই বাংলো থেকেই সমুদ্র দেখেন অক্ষয় ও তাঁর পরিবার। টুইঙ্কল খন্না একবার সেই ছবি ইনস্টাগ্রামেও পোস্ট করেছিলেন। লকডাউন শুরুর আগে জনতা কার্ফুর দিন নিজের সেই বাড়ির পাঁচিলের ওপর দাঁড়িয়েই থালা বাজিয়েছিলেন অক্ষয়, ছিলেন হৃতিক রোশনও।