Attack on Saif Ali Khan: আহত অবস্থায় হাতের কাছে কিছু খুঁজছিলেন সেফ, তিনিই ঠেলে হাসপাতালে পাঠান, পুলিশকে জানালেন করিনা
Kareena Kapoor Khan: দুষ্কৃতীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়াই নয় শুধু, রক্তাক্ত অবস্থায় সেফ এঘর-ওঘর ছুটে বেড়াচ্ছিলেন বলেও জানিয়েছেন করিনা।

মুম্বই: মাঝে বেশ কয়েক মাস কেটে গেলেও, বাড়িতে ঢুকে সেফ আলি খানের উপর হামলার রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বলিউড। নিরাপত্তার ঘেরাচোপ পেরিয়ে কী ভাবে দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকল, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা যেমন কাটেনি। তেমনই, রক্তাক্ত অবস্থায় সেফ কী ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করলেন, ছোট্ট তৈমুরকে নিয়ে একা একা হাসপাতালে গেলেন কী করে, ভেবে কূল পাচ্ছেন না অনুরাগীরাও। সেই আবহেই সেফের স্ত্রী, করিনা কপূর খান পুলিশকে যে বয়ান দিয়েছেন, তা সামনে এল। ঠিক কী ঘটেছিল, তা পুলিশের কাছে তুলে ধরেন তিনি। (Attack on Saif Ali Khan)
দুষ্কৃতীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়াই নয় শুধু, রক্তাক্ত অবস্থায় সেফ এঘর-ওঘর ছুটে বেড়াচ্ছিলেন বলেও জানিয়েছেন করিনা। পুলিশকে তিনি যে বয়ান দিয়েছেন, তা হল, “রাত ২টো নাগাদ জুনু (ছেলে জেহ্-র আয়া) চিৎকার করতে করতে আমাদের ঘরে ঢোকেন। বলেন, ‘জেহ্ বাবার ঘরে একটা লোক ঢুকে পড়েছে। হাতে ছুরি রয়েছে, টাকা চাইছে’।” (Kareena Kapoor Khan)
করিনা জানিয়েছেন, সঙ্গে সঙ্গে তিনি এবং সেফ জেহ্-র ঘরে ছুটে যান। জেহ্-র ঘরে দুষ্কৃতীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখান তাঁরা। সেফ চিৎকার করতে থাকেন, “কে আপনি? কী চান?” প্রশ্ন করতে করতেই দুষ্কৃতীর দিকে এগিয়ে যান তিনি। দু’জনের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। দুই হাত দিয়ে দুষ্কৃতীকে শক্ত করে ধরেন সেফ। কিন্তু হাতের ছুরি দিয়ে সেফের গলায় কোপ বসিয়ে দেয় দুষ্কৃতী। এর পর হাতে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকে। এর পর সেফের পিঠেও কোপ বসায় সে।
এর পর, গীতা নামের আর এক আয়া সেফকে সাহায্য় করতে ছুটে যান। তাঁর উপরও হামলা চালায় দুষ্কৃতী। তাঁর হাতেও কোপ বসিয়ে দেয়। এতে করিনা চিৎকার করে বলেন, “জেহ্ বাবাকে তাড়াতাড়ি বের করে আনো।” কোনও রকমে ছেলের নাগাল পেয়ে, তাকে এবং বড় ছেলে তৈমুর ও বাড়ির আর এক সহায়িকাকে নিয়ে ১২তলায় উঠে যান করিনা।
করিনা জানিয়েছেন, কিছু ক্ষণ পর ১২ তলায় উঠে আসেন সেফ। রক্তে তখন তাঁর জামা পুরো ভিজে গিয়েছে। গলা থেকে, পিঠ থেকে রক্ত চুঁইয়ে পড়ছে। সেফ কিছু একটা খুঁজছিলেন, যা দিয়ে দুষ্কৃতীকে পেটানো যায়। কিন্তু তত ক্ষণে গৃহ সহায়ক হরি, রামু, রমেশ এবং পাসোয়ান চলে এসেছেন। সকলে মিলে দুষ্কৃতীর খোঁজ করতে থাকেন। কিন্তু কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে। সেই অবস্থায় সেফের চিকিৎসা সবার আগে প্রয়োজন বলে মনে হয় করিনার। তাতে করিনা বলেন, “এসব থাক এখন। আগে নীচে চলো, হাসপাতালে যাই।” সেই মতো হরি, সেফ এবং তৈমুর নীচে নামেন। অটো ধরে হাসপাতালে পৌঁছন তাঁরা।
পুলিশকে করিনা জানিয়েছেন, এর পর দিদি করিশ্মা এবং ম্যানেজার পুনম দামানিয়াকে ফোন করেন তিনি। পুনমের স্বামী তেজস দামানিয়া পুলিশকে ফোন করেন। পুলিশ এসে পৌঁছয় বাড়িতে। কিন্তু দুষ্কৃতীর নাগাল মেলেনি। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে সেফ বলেন, “লীলাবতী হাসপাতালে যখন ভর্তি হলাম, চিকিৎসকরা জানালেন, ছুরির কিছুটা অংশ পিঠের ভিতর ঢুকে গিয়েছে। অস্ত্রোপচার করে সেটি বের করা হয়।”
সেফের উপর হামলার ঘটনায় বান্দ্রা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ১৬১৩ পাতার চার্জশিট দিয়েছে মুম্বই পুলিশ। বাংলাদেশি নাগরিক শরিফুল ইসলামকে হামলাকারী বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ১১১ জনের বয়ান রয়েছে চার্জশিটে। সেফ ও করিনার ছোট ছেলে জেহ্-র ঘরে ছুরি হাতে ঢুকে সে ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করছিল বলে জানা গিয়েছে। তার ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছেস হয়েছে ফরেন্সিক পরীক্ষাও।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
