Bihar: জীবন শেষ করতে গিয়ে রেল লাইনে ঘুম তরুণীর, তারপর?
Bihar Student: পরনে চুড়িদার। পিঠে রয়েছে ব্যাগ। সেই অবস্থাতেই ট্রেনের ট্র্যাকে শুয়ে রয়েছে এক পড়ুয়া। চাকিয়া স্টেশনের আউটার সিগন্যালের কাছে এমনই দৃশ্য দেখা যায়।
বিহার: মাথার কাছাকাছি ট্রেনের ইঞ্জিন। রেল লাইনে শুয়ে এক ছাত্রী। টেনে ওঠানোই যাচ্ছে না তাকে। কেন ট্রেনের ট্র্যাকে সে? সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া তো দূর। ওড়নায় মুখ ঢাকল ছাত্রী। ঘটনাস্থল বিহারের (Bihar) চাকিয়া স্টেশন। ট্রেনের ড্রাইভার এবং স্থানীয়রা তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল ছাত্রীর।
রেল লাইনে ঘুম তরুণীর: পরনে চুড়িদার। পিঠে রয়েছে ব্যাগ। সেই অবস্থাতেই ট্রেনের ট্র্যাকে শুয়ে রয়েছে এক পড়ুয়া। চাকিয়া স্টেশনের আউটার সিগন্যালের কাছে এমনই দৃশ্য দেখা যায়। সেই মুহূর্তেই ওই রেল লাইনে দিয়ে মোতিহারি থেকে মুজাফফরপুর যাচ্ছিল একটি ট্রেন। দূর থেকে ওই ছাত্রীকে শুয়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পান ড্রাইভার। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত বুদ্ধিকে কাজে লাগান চালক। আপৎকালীন ব্রেক কষেন তিনি। ট্রেনের যথেষ্ট গতি থাকা সত্ত্বেও, চালকের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে বিপদ এড়ানো যায়।
ট্রেন থামানোর সঙ্গে সঙ্গে নেমে যান চালক। সরে যেতে বলেন ওই ছাত্রীকে। যদিও সেখান থেকে উঠতে রাজি হচ্ছিল না। কেন ওই লাইনে সে শুয়েছিল? তাও জানতে চাওয়া হয়। কোনও উত্তর না দিয়ে ওড়না দিয়ে মুখ ঢাকছিল সে। কেন সেখানে ওই ছাত্রী রয়েছে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না স্থানীয়রা। এরপর স্থানীয়দের তৎপরতায় সরানো হয় ওই ছাত্রীকে। জানা যায়, আত্মহত্যা করতে সে রেল লাইনে এসে শুয়েছিল। সূত্রের খবর, প্রেমিককে বিয়ে করা নিয়ে কয়েকদিন ধরে পারিবারিক বিবাদ চলছিল। সম্পর্ক মানতে নারাজ ছিল পরিবার। তার জন্যই এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে যায়। রেল লাইনের থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। নিজেকে শেষ করে দিতে চায়।
পড়ুয়ার সুরক্ষার্থে তৎপর হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। তাকে সরানোর পর ফের যাত্রা শুরু করে ট্রেন। এই ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ ওই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের হস্তক্ষেপ এবং ট্রেন চালকের পদক্ষেপে বাঁচল প্রাণ। সেখান থেকে উদ্ধার করার পর ওই পড়ুয়াকে বাড়ি পৌঁছে দেন স্থানীয়রা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: R G Kar Protest: যে ভাষায় মেল, অপমানজনক... অনড় আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা