![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Covid19 Update: করোনাকালে অ্যাম্বুলেন্স চালকের দাদাগিরি! ৬ ঘণ্টার জন্য ভাড়া ৩৩ হাজার টাকা! গয়না বন্ধক বধূর
এবার হুগলির কোন্নগরে মাত্র ৬ ঘণ্টার জন্য ৩৩ হাজার টাকা ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠল। ভাড়া মেটাতে গয়না বন্ধক দিতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন কোন্নগরের এক বধূ।
![Covid19 Update: করোনাকালে অ্যাম্বুলেন্স চালকের দাদাগিরি! ৬ ঘণ্টার জন্য ভাড়া ৩৩ হাজার টাকা! গয়না বন্ধক বধূর Coronavirus Update: ambulance driver rude behavior in Uttarpara area amid coronavirus surge Covid19 Update: করোনাকালে অ্যাম্বুলেন্স চালকের দাদাগিরি! ৬ ঘণ্টার জন্য ভাড়া ৩৩ হাজার টাকা! গয়না বন্ধক বধূর](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/05/14/6851c2e156d6d518c6fbeb3e062970eb_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
হুগলি: করোনাকালে ফের অ্যাম্বুল্যান্স চালকের দাদাগিরি। এর আগেও অ্যাম্বুলেন্সের বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার হুগলির কোন্নগরে মাত্র ৬ ঘণ্টার জন্য ৩৩ হাজার টাকা ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠল। ভাড়া মেটাতে গয়না বন্ধক দিতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন কোন্নগরের এক বধূ। তাঁর স্বামী অসুস্থ। স্বামীকে নিয়ে কলকাতার একাধিক হাসপাতালে ঘুরলেও বেড মেলেনি বলে অভিযোগ।
হুগলির ওই বধূর স্বামী উত্তরপাড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হওয়ায় তিনি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেন। প্রথমে ১৩ হাজার টাকা ভাড়া ঠিক হয় বলে জানা গেছে। এরপর কলকাতার একাধিক হাসপাতালে ঘুরতে হয়। ওই বধূর অভিযোগ, এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্স চালক ভাড়া বাড়াতে থাকেন। কোনও হাসপাতালে বেড না মেলায় উত্তরপাড়াতেই ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হয় তাঁর স্বামীকে। ওই সময় চালক ৩৩ হাজার টাকা ভাড়া দাবি করেন বলে অভিযোগ। ভাড়া না মেটালে হাসপাতালে ওই বধূর স্বামীকে নামাতেও চালক অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। ওই বধূ বলেন, শেষপর্যন্ত গয়না বন্ধক রেখে ভাড়া মেটান তিনি।
অ্যাম্বুলেন্সের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন, বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট চালকের কাছে খোঁজ নিয়ে দেখছেন।
আইসিইউ-তে থাকা স্বামীর অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল। তাঁকে বাঁচাতে ছাপোষা বধূ উত্তরপাড়ার নার্সিংহোম থেকে কলকাতায় নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। সঙ্কটকালে অসহায়তার সুযোগ নিয়ে ফের অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে উঠল দাদাগিরির অভিযোগ।মহিলার দাবি, তাঁর থেকে ৩৩ হাজার টাকা চাওয়া হয়।
উত্তরপাড়ার বাসিন্দা মেহতাব আলম আনসারি বুধবার করোনা আক্রান্ত হন। সেদিনই তাঁকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করে পরিবার। কিন্তু অবস্থার অবনতি হতে থাকায় স্বামীকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তনুশ্রী মজুমদার। বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই শুরু ভোগান্তির। ওই মহিলার দাবি, ৭ ঘণ্টা ধরে কলকাতার ৬টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরেও মেলেনি বেড। অভিযোগ, প্রথমে ১৩ হাজার টাকা চাওয়া হলেও, শেষ পর্যন্ত তাঁর থেকে ৩৩ হাজার টাকা দাবি করেন অ্যাম্বুল্যান্স চালক।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)