UNESCO Intangible Heritage List: বাঙালির মুকুটে নতুন পালক, ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা দুর্গাপুজোকে
Intangible Heritage : বাধা দূর করে সবাই মিলিত হয় এই উৎসবে, দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়ে জানাল ইউনেস্কো
নিউইয়র্ক : বাঙালির মুকুটে নতুন পালক, ইউনেস্কোর (UNESCO) হেরিটেজ তকমা পেল দুর্গাপুজো (Durga Puja)। ধর্ম এবং শিল্পের মেলবন্ধনের জন্যেই সংস্কৃতিতে হেরিটেজ তকমা, বাধা দূর করে সবাই মিলিত হয় এই উৎসবে, দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়ে জানাল ইউনেস্কো। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তায় দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবেল কালচার হেরিটেজ তথা অনুনভবনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দেওয়ার কথা জানানো হয়। ফ্রান্সের প্যারিসে আয়োজিত হওয়া UNESCO’র ১৬তম অধিবেশনে ‘কলকাতার দুর্গাপুজো’কে বিশেষ সাংস্কৃতিক হেরিটেজের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে।
ইউনেস্কোর পক্ষে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাসে কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের মানুষজন মেতে ওঠে দুর্গাবন্দনায়। দশদিনব্যাপী উৎসবের আসল টান 'ঘরে ফেরা'। শুধু দশদিনের উৎসবই নয়, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই উৎসবমুখর থাকে বাঙালি। মাটির প্রতিমা গড়া থেকে যে কাজ শুরু হয়ে যায়। প্রতিমা তৈরির পর তা সাজিয়ে গুছিয়ে বিভিন্ন প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে এবং বাড়িতে পুজো-অর্চনায় মেতে ওঠেন সকলে।
🔴 BREAKING
— UNESCO 🏛️ #Education #Sciences #Culture 🇺🇳😷 (@UNESCO) December 15, 2021
Durga Puja in Kolkata has just been inscribed on the #IntangibleHeritage list.
Congratulations #India 🇮🇳! 👏
ℹ️https://t.co/gkiPLq3P0F #LivingHeritage pic.twitter.com/pdQdcf33kT
'মেয়ের ঘরে ফেরার' উৎসব হিসেবেই ধুমধাম করে যা অনুষ্ঠিত হয়। মহালয়া থেকে পুজো শুরুর পর দশমীর দিনে মেয়েকে বিদায় জানানো হয় প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে। নতুন জামা, সাজপোশাক, খাওয়া-দাওয়া, সবমিলিয়ে ধর্ম ও শিল্পের এক অদ্ভূত মেলবন্ধন গড়ে ওঠে। পুজোর উৎসব ক্রমশ স্থান পেয়েছে অনুভূতির অঙ্গ হিসেবে। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে যেখানে মেতে ওঠেন সেখানে। উৎসবের আলোকচ্ছটায় ধুয়ে-মুছে যায় যাবতীয় ভেদাভেদ। বঙ্গ সংস্কৃতির অনন্য অঙ্গ এই উৎসব।
দুর্গাপুজোর যে স্বীকৃতি পাওয়ার পর স্বাভাবিক কারণেই খুশির রেশ সবমহলে। বেশিরভাগেরই বক্তব্য, ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি আরও অনেক আগেও পাওয়া উচিত ছিল দুর্গাপুজোর।