Netajinagar Death:পার্টির সময় বান্ধবীর সঙ্গে ঝামেলা, পরে উদ্ধার তরুণীর ঝুলন্ত দেহ, চাঞ্চল্য নেতাজীনগরে
অভিযোগ, বিবাদের সময় ঘুমের ওষুধ খান তরুণী। বাকিরা তাঁকে সে সময় কোনওরকমে সুস্থ করে। এরপর তিনি দরজা বন্ধ করে দেন।
আবীর দত্ত, কলকাতা: নেতাজিনগরে ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার তরুণীর ঝুলন্ত দেহ! পরিবারের অভিযোগ, বিশেষ বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং মানসিক চাপের জেরেই আত্মঘাতী তরুণী।
সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই কি শেষ হয়ে গেল আরও একটি জীবন? এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর ফের উঠল এই প্রশ্ন।
মঙ্গলবার গভীর রাতে নেতাজি নগরের একটি ফ্ল্যাট থেকে বছর ২৬-এর পূজা গায়েন নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, আদতে পূর্ব বর্ধমানের দেবীপুরের বাসিন্দা এই তরুণী, টালিগঞ্জে সহকারি চলচ্চিত্র পরিচালকের কাজ করতেন।মৃতের পরিবারের আরও দাবি, বেশ কিছুদিন ধরে এক টুম্পা রায় নামে বান্ধবীর সঙ্গে তাঁর বিশেষ সম্পর্ক ছিল।
ঠিক কী ঘটেছিল মঙ্গলবার রাতে?
প্রত্যক্ষদর্শী আরও এক তরুণীর দাবি, মঙ্গলবার নেতাজি নগরের এই ফ্ল্যাটে মদ্যপান করছিলেন পূজা গায়েন ও টুম্পা রায়।রাত পৌনে ১২টার সময় হঠাত্ই দুজনের মধ্যে ঝগড়া বেধে যায়। অভিযোগ, তখন বেশ কয়েকটি ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন পূজা গায়েন।
প্রত্যক্ষদর্শীর আরও দাবি, কোনওরকমে ওই তরুণীকে সুস্থ করে তোলার পর, তিনি বাকিদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন। এরপর মিনিট পাঁচেক পর থেকে ঘরের ভিতর থেকে আর কোনও সাড়া শব্দ মিলছিল না। পরে দরজা ভেঙে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর উদ্ধার করে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বান্ধবীর অত্যাধিক মানসিক চাপের কারণেই আত্মহত্যা করেছেন এই তরুণী। মৃতের বোন বলেছেন, পুলিশকে লিখিত আকারে জানিয়েছি। মানসিকভাবে চাপ দেওয়া হত আমার দিদিকে।ওর পার্টনার চাপ দিত। মানসিক চাপে পড়ে এরকম হয়েছে।
এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে নেতাজিনগর থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মৃতার বিশেষ বান্ধবীকে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।