Supreme Court: ধর্মের নামে কোথায় পৌঁছে গিয়েছে দেশ! ঘৃণাভাষণ নিয়ে সরকারকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের
Hate Speech: ঘৃণাভাষণ নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে শুক্রবার এমন মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট।
নয়াদিল্লি: ভারত সফরে এসেই মানবাধিকার রক্ষার রেকর্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nations) মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুটেরাস। তার দু’দিন পরই ঘৃণাভাষণ (Hate Speech) নিয়ে সরকারের ভূমিকার তীব্র নিন্দা সুপ্রিম কোর্টে (Supereme Court)। ধর্মের নামে কোথায় পৌঁছে গিয়েছে দেশ, প্রশ্ন তুলল সর্বোচ্চ আদালত। এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা না নিলে আদালতের অবমাননার দায়ে পড়তে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হল।
ঘৃণাভাষণ নিয়ে সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা আদালতের
ঘৃণাভাষণ নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে শুক্রবার এমন মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলে, ‘‘’২১ শতক চলছে। কিন্তু ধর্মের নামে কোথায় পৌঁছে গিয়েছি আমরা? দেশের ধর্ম নিরপেক্ষ পরিকাঠামোয় এই ধরনের ঘটনা স্তম্ভিত করে। এই ধরনের ঘটনায় সরকার পদক্ষেপ করতে ব্যর্থ হলে তা আদালতের অবমাননা হিসেবে গন্য হবে এবং সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এর আগে, বৃহস্পতিবার দেশ জুড়ে বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের মানুষকে নিশানা করা, তাঁদের ভীতসন্ত্রস্ত করে রাখার পরিবেশ নিয়ে কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চায় শীর্ষ আদালত। বেছে বেছে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, ঘৃণাভাষণ নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন আবেদনকারী। আবেদনকারীর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন অভিজ্ঞ আইনজীবী কপিল সিব্বল। তাতে দিল্লিতে বিজেপি সাংসদ প্রবেশ ভার্মার ‘হিন্দু সভা’র উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি, যেখানে বিশেষ একটি সম্প্রদায়কে বয়কট করার ডাক দিতে শোনা যায় তাঁকে।
ঘৃণাভাষণে পদক্ষেপ না করা অবমাননা বলে গন্য হবে!
শুনানি চলাকালীন ওই সভায় উপস্থিত জগৎগুরু যোগেশ্বর আচার্যের বক্তব্যও পড়ে শোনান বিচারপতিরা। তাতে মন্দিরের দিকে আঙুল তোলা সকলের গলার নলি কাটার যে নিদান দেন জগৎগুরু, তারও উল্লেখ করে আদালত। শুক্রবার আদালত কড়া বার্তা দেওয়ার পর বিচারপতিদের ধন্যবাদ জানান সিব্বল। জবাবে বিচারপতিরা বলেন, ‘‘এটাই কর্তব্য আমাদের। এটা না করলে দায় ঝেড়ে ফেলা হয়।’’