IndiGo Flight Crisis: সকাল থেকে দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে একের পর এক উড়ান বাতিল !
IndiGo Flight Cancellation : এক সপ্তাহ পরেও ইন্ডিগো বিপর্যয়ে এখনও যাত্রী হয়রানি অব্যাহত, আজও একের পর এক উড়ান বাতিল !

কলকাতা: এক সপ্তাহ পরেও ইন্ডিগো বিপর্যয়ে এখনও যাত্রী হয়রানি অব্যাহত রয়েছে। সকাল থেকে বিভিন্ন বিমানবন্দরে একের পর এক উড়ান বাতিল। মুম্বই বিমানবন্দরে বাতিল ৯টি ইন্ডিগোর উড়ান।
আরও পড়ুন, গোয়ার নাইটক্লাবের মৃতদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাও !
দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ৬টি উড়ান বাতিল করল ইন্ডিগো। গতকালও দেশ জুড়ে বাতিল প্রায় ৪০০ উড়ান। ইতিমধ্যেই ইন্ডিগোকে শো-কজ করেছে DGCA। ইন্ডিগোকে নোটিস, জবাব দেওয়ার সময় ২৪ ঘণ্টা বাড়াল DGCA। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে, সাফাই ইন্ডিগোর। 'উড়ান বাতিল ও বিলম্বের জন্য যাত্রীদের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে'। শনিবার পর্যন্ত ৬১০ কোটি টাকা ফেরত, দাবি ইন্ডিগোর।
২ বছর আগের বিধি কার্যকর হয়েছে নভেম্বর থেকে। অন্য উড়ান সংস্থাগুলিতে সমস্যা না হলেও দেশের সব থেকে বড় উড়ান সংস্থায় এই বিপর্যয় ঘটল কেন? কেন আগে থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি সংস্থা? তাহলে কি DGCA-কে চাপে রাখতে এবং কর্মী নিয়োগ এড়াতেই উড়ান সংস্থার পাল্টা কৌশল? প্রশ্নের মুখে ইন্ডিগো। সংস্থার দাবি, ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। শনিবারের তুলনায়, নির্দিষ্ট সময়ে বিমান ওড়ার হার অনেকে বেড়েছে। চাপের মুখে নির্দেশ প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্র।ইন্ডিগোকে শোকজ করেছে DGCA.তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। বেঁধে দেওয়া হয়েছে, দূরত্ব অনুযায়ী ডোমেস্টিক উড়ানের সর্বোচ্চ ভাড়া। কিন্তু তার পরেও দুর্ভোগের ছবিটা যে কে সেই!পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা অর্ণব বরাট। চাকরি করেন মুম্বইয়ে।
কিন্তু, হঠাৎ এমন পরিস্থিতি কেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেপথ্যে রয়েছে DGCA-এর Flight Duty Time Limitations.যেখানে বলা হয়েছে, পাইলটদের সপ্তাহে ৩৬ ঘণ্টার বদলে ৪৮ ঘণ্টা বিশ্রাম বাধ্যতামূলক। যত ঘণ্টা বিমান উড়িয়েছেন, তার চেয়ে বেশি সময় বিশ্রাম দিতে হবে পাইলটকে।২৪ ঘণ্টার মধ্যে একজন পাইলটকে ১০ ঘণ্টা বিশ্রাম দিতেই হবে। সপ্তাহে ৬টি নয়, মাত্র ২ টি বিমান রাতে অবতরণ করাতে পারবেন একজন পাইলট। পাইলট ও বিমানকর্মীদের পর পর ২টি নাইট ডিউটি দেওয়া যাবে সপ্তাহে একবার।পাইলট ও বিমানকর্মীদের ছুটিকে সাপ্তাহিক বিশ্রামের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।এই নির্দেশিকা চালু হওয়ার কথা ছিল ২০২৪-এ। একাধিক বিমান সংস্থার অনুরোধে সেটি কার্যকর হয় এবছর পয়লা নভেম্বর থেকে।তারপরই বিভ্রাট শুরু হয় ইন্ডিগোয়।
ইন্ডিগোর তরফে জানানো হয়, প্রযুক্তিগত ত্রুটি, শীতকালীন সময়সূচি পরিবর্তন, প্রতিকূল আবহাওয়া, বিমান ব্যবস্থায় ক্রমবর্ধমান যানজট এবং বিমানকর্মীদের কাজের সংশোধিত সময়সূচি, এমন নানা অপ্রত্যাশিত কারণে আমাদের পরিষেবার উপর এমন নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।পরিস্থিতির মোকাবিলায় শুক্রবার জরুরি বৈঠকে বসেন অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু।পরে পুরনো নির্দেশিকায় উল্লিখিত ছুটি ও বিশ্রামের বিধি শিথিল করে DGCA জানায়, পাইলট বা বিমানচালকদের নেওয়া ছুটিকে সাপ্তাহিক বিশ্রামের যে নির্দিষ্ট সময়, তার অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না, বলে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।কিন্তু অন্য উড়ান সংস্থাগুলিতে সমস্যা না হলেও দেশের সব থেকে বড় উড়ান সংস্থায় এই বিপর্যয় কেন?






















