(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Kolkata News: ট্রলি ঠেলতে হল নিজেদের, সঙ্কটাপন্ন রোগীকে নিয়ে এনআরএস-এ হিমশিম পরিবার
Kolkata News: ইউএন ব্রহ্মচারী ভবন থেকে সেন্টিনারি বিল্ডিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ওই রোগীকে। বহু চেষ্টা সত্ত্বেও কাউকে না পেয়ে ওই দেড়-দু’কিলোমিটার পথ নিজেরাই ট্রলি ঠেলেন রোগীর পরিবাররে লোকজন।
ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: রোগী পরিষেবা ঘিরে ফের বিতর্কে কলকাতার এনআরএস হাসপাতাল (NRS Hospital)। কিডনির সমস্যায় ভোগা সঙ্কটাপন্ন রোগীর ট্রলি ঠেলার লোক মিলল না সেখানে। বরং পরিবারকেই ট্রলি ঠেলে নিয়ে যেতে হল। সেই দৃশ্য ধরা পড়ল এবিপি আনন্দের ক্যামেরায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এনআর কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার দোলের দিন কলকাতার (Kolkata News) প্রথমসারির হাসপাতালে এই ঘটনায় ফের বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে (Patient Family Harassed)। সঙ্কটাপন্ন রোগীকে হাসপাতালে ডায়ালিসিসের জন্য নিয়ে আসেন তাঁর পরিবারের লোকজন। কিন্তু সেখানে কোনও লোক পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। এমনকি টাকার বিনিময়ে ট্রলি ঠেলার লোক চাইলেও, সাড়াশব্দ মেলেনি বলে দাবি রোগীর পরিবারকে। ফলে তাঁদের নিজেদেরই ট্রলি টেলতে হয়।
এ দিন ইউএন ব্রহ্মচারী ভবন থেকে সেন্টিনারি বিল্ডিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ওই রোগীকে। বহু চেষ্টা সত্ত্বেও কাউকে না পেয়ে ওই দেড়-দু’কিলোমিটার পথ নিজেরাই ট্রলি ঠেলেন রোগীর পরিবাররে লোকজন। এনআরএস হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের জন্য আলাদা গাড়ির ব্যবস্থা থাকে। এ ক্ষেত্রে গাড়ি কেন মিলল না, প্রশ্ন উঠছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদিও জানিয়েছেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: Kolkata Boy Drowned : দোলের দুপুরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, পুকুরে ডুবে কিশোরের মৃত্যু গড়িয়ায়
রোগীকে নিয়ে যখন হিমশিম খাচ্ছেন তাঁর পরিবারের লোকজন, সেই সময় হাসপাতাল চত্বরে উপস্থিত ছিল পুলিশও। কিন্তু পুলিশের কাউকেই ওই পরিবারের সাহায্যে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। সেই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি হাসপাতালে উপস্থিত পুলিশকর্মীরা। বরং এবিপি আনন্দের ক্যামেরার সামনে নিজেদের আড়াল করতে দেখা যায় তাঁদের।
ওই রোগীর পরিবার জানিয়েছেন, এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ট্রলি ঠেলে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। ট্রলি ধরার জন্য পর্যন্ত কেউ এগিয়ে আসেননি। শুধু তাই নয়, রোগী সঙ্কটাপন্ন হলেও হাসপাতালে পরিবারের কাউকে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগও করেন তাঁরা। শয্যার জন্য ২০০ টাকা করে চাওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রোগীর পরিবারের এক জন।