Russia-Ukraine Crisis: যুদ্ধের জল গড়াল মহাকাশ গবেষণাতেও
Russia-Ukraine Crisis: রাশিয়ার উপর একাধিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ব্রিটেন। এরই জের এসেছে লেগেছে স্যাটেলাইট লঞ্চ নিয়েও। উপগ্রহ পাঠাতে একাধিক নতুন শর্ত আরোপ রাশিয়ার।
মস্কো: রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের জল গড়াল উপগ্রহ নিয়েও। সম্প্রতি ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তারপর থেকেই পশ্চিমের বিভিন্ন দেশগুলির সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। রাশিয়ার উপর একাধিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ব্রিটেনও। এরই জের এসেছে লেগেছে স্যাটেলাইট লঞ্চ নিয়েও।
মার্চেই রাশিয়ান সয়ুজ রকেটে মাধ্যমে মহাকাশে পাঠানোর কথা ছিল ব্রিটেনের একাধিক স্যাটেলাইট। ওয়ানওয়েবের (oneweb) ৩৬টি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানোর কথা ছিল। ৫ মার্চ রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা কাজাখস্তানের বাইকোনুর (baikonur) থেকে উপগ্রহ পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু তা নিয়ে এবার বেঁকে বসেছে রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস (roscosmos)। সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল দিমিত্রি রগোজিন ( Dmitry Rogozin) একটি টুইট বার্তায় দাবি করেন, এই উপগ্রহগুলি সামরিক কারণে ব্যবহার হবে না, প্রস্তুতকারক সংস্থা এমন নিশ্চয়তা না দিলে সেগুলি মহাকাশে পাঠানো হবে না।
ওয়ানওয়েব (oneweb) সংস্থাটিতে অংশীদারিত্ব রয়েছে ব্রিটিশ সরকারেরও (UK government)। এখানেও আপত্তি জানিয়েছে রসকসমস। উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাতে ওই সংস্থা থেকে ব্রিটিশ সরকারের বিনিয়োগ সরিয়ে ফেলার শর্তও আরোপ করা হয়েছে রাশিয়ার তরফে। শুক্রবারের মধ্যে দাবিগুলি না মানা হলে লঞ্চপ্যাড থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে রকেট। হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা। এমনকি যদি ওয়ানওয়েব উপগ্রহগুলির জন্য রাশিয়ার এই রকেটটি ব্যবহার না করা হয়, তাহলে অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা হবে বলেও জানিয়েছে রসকসমস। যদিও রাশিয়ার শর্ত কোনওভাবেই মানা হবে না। স্পষ্টবার্তা দিয়েছে ব্রিটিশ প্রশাসন। পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানানো হয়েছে ব্রিটিশ প্রশাসনের তরফে।
এর আগেই ইউরোপের কোনও মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করা হবে না বলে জানানো হয়েছিল রাশিয়ান সংস্থাটির তরফে। যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর প্রতিবাদেই এমন পদক্ষেপ।