Trauma Ambulance Upadate: রাজ্যজুড়ে পরিষেবার আকাল, পাঁশকুড়ায় পড়ে নষ্ট হচ্ছে অত্যাধুনিক ট্রমা অ্যাম্বুল্যান্স
এলাকাবাসীর অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার পরিকল্পনার অভাবে করোনাকালে অ্যাম্বুল্যান্সটিকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
পূর্ব মেদিনীপুর: করোনা রোগীর জন্য অ্যাম্বুল্যান্স পেতে যখন হিমশিম অবস্থা, তখন পাঁশকুড়ায় আকাশের নীচে পড়ে নষ্ট হচ্ছে ট্রমা অ্যাম্বুল্যান্স। অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার সদিচ্ছার অভাবে অত্যাধুনিক অ্যাম্বুল্যান্স ব্যবহার হচ্ছে না। পুরসভার দাবি, দ্রুত অ্যাম্বুল্যান্সটি রাস্তায় নামানো হবে।
অ্যাম্বুল্যান্স মেলেনি বলে অভিযোগ। তাই বাইকে মাকে বসিয়ে হাসপাতালের পথে ছেলে। গত বছরের জুলাইয়ে কোলাঘাটে দেখা যাওয়া ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে এবার হুগলির পাণ্ডুয়ায়। অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে যখন বার বার হয়রানির এরকম অভিযোগ উঠছে, তখন পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় পড়ে নষ্ট হচ্ছে ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স।
সাড়ে তিন বছর আগে পরিবহণ দফতর থেকে এই অত্যাধুনিক অ্যাম্বুল্যান্সটি পায় পাঁশকুড়া পুরসভা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার পরিকল্পনার অভাবে করোনাকালে অ্যাম্বুল্যান্সটিকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
তাঁরা বলছেন, পুরসভার কোনও পরিকল্পনা নেই, তার জন্য এত দামি অ্যাম্বুল্যান্স বসিয়ে নষ্ট করা হচ্ছে, এখন অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া যাচ্ছে না তখন এটা কাজে লাগত। ট্রমা অ্যাম্বুল্যান্সে অক্সিজেন সাপোর্টের পাশাপাশি রয়েছে ভেন্টিলেশন ও কার্ডিয়াক সাপোর্টসহ অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা। পুরসভার সাফাই চালক ও টেকনিশিনিয়ানের অভাবে এই পরিস্থিতি।
কতৃপক্ষ বলছে, 'ট্রমা অ্যাম্বুল্যান্স চালানোর জন্য টেকনিশিয়ান, ডাক্তার রাখতে হয়, যিনি দিয়েছিলেন তিনি ব্যবস্থা করেননি, গাড়ি পেলেও আনুষাঙ্গিক কিছু পাইনি, চালু করার ব্যবস্থা করছি'। এলাকাবাসীর বক্তব্য অ্যাম্বুল্যান্সটি চালু থাকলে, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া, কোলাঘাটের পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের একটা অংশের মানুষের সুবিধা হত। কবে চালু হয় ট্রমা অ্যাম্বুল্যান্স এখন সেই অপেক্ষায় দিন গুনছেন এলাকার মানুষ।
রাজ্যজুড়ে লকডাউন। এর মাঝেই করোনার প্রকোপে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি বেড, অক্সিজেনের আকাল তো রয়েছেই। টিকাও পর্যাপ্ত নেই। বেশ কিছু ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্স নিয়েও একাধিক অভিযোগ তুলেছেন রোগীর পরিবার। মাত্র কয়েক কিলোমিটার যেতেই আকাশ ছোঁয়া ভাড়া চাইছেন চালকরা।
কয়েকদিন আগেই হুগলির কোন্নগরে এমন এতটি ঘটনা ঘটে। সোনার গহনা বন্ধক রেখে শেষে চালকের ভাড়া মেটান রোগীর স্ত্রী। যদিও এবিপি আনন্দে খবর সম্প্রচার হতেই মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ করেন। এবং অতিরিক্ত টাকা ফেরত পান ওই রোগীর পরিবার।