আত্মরক্ষায় শক্তিপ্রয়োগে দ্বিধা করবে না ভারত: রাজনাথ
পাকিস্তান ইট মারলে পাল্টা পাটকেল নিয়ে যে ভারত প্রস্তুত, তা আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে স্পষ্ট করে দিলেন মোদী মন্ত্রিসভার সদস্য রাজনাথ।
সিওল: সংবিধান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিশেষ রাজ্যের মর্যদা খুইয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। বলা ভাল, জম্মু-কাশ্মীর এখন কোনও রাজ্যই নয়। ভূস্বর্গ দ্বিখণ্ডিত হয়ে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ এই দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ হয়েছে। ভারতের এই পদক্ষেপে একেবারেই খুশি নয় পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মহলে একাধিকবার ভারতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েও তারা কোনও সুফল পায়নি। যখন কোনও লাভই হয়নি, তখন বারংবার পরমাণু হামলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজেও কাশ্মীর ইস্যুতে পরমাণু যুদ্ধের পক্ষে সওয়াল করেছেন। এই পরিস্থিতিতে ভারত একদিকে যেমন কূটনৈতিক পথ অবলম্বন করছে, ঠিক তেমনি পাল্টা কঠোর মনোভাব দেখাতেও কোনও দ্বিধা করছে না। দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলেও নিজেদের অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করল ভারত।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহর সাফ বক্তব্য, “অতীতে ভারতের আগ্রাসী হওয়ার কোনও উদাহরণ নেই ঠিকই, কিন্তু আত্মরক্ষায় শক্তিপ্রয়োগ করতে দেশ কোনও দ্বিধা করবে না।” অর্থাৎ, পাকিস্তান ইট মারলে পাল্টা পাটকেল নিয়ে যে ভারত প্রস্তুত, তা আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে স্পষ্ট করে দিলেন মোদী মন্ত্রিসভার সদস্য রাজনাথ।
India has never been an aggressor in its history nor will it ever be. But that does not mean that India would balk at using its strength to defend itself.
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) September 5, 2019
Defence diplomacy is a key pillar of India’s strategic toolkit. In fact, defence diplomacy and maintaining strong defence forces are two sides of the same coin. They go hand in hand.
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) September 5, 2019
বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলে পা রেখেছেন রাজনাথ। থাকবেন তিন দিন। সেখান থেকেই ট্যুইটারে রাজনাথ জানান, “প্রতিরক্ষা কূটনীতি ভারতীয় রণকৌশলের অন্যতম স্তম্ভ। বাস্তবে প্রতিরক্ষা কূটনীতি এবং একই সঙ্গে নিজের সামরিক শক্তিকে পোক্ত করা, একই মুদ্রার দুই পিঠ। এরা দুই-ই হাত ধরাধরি করে এগিয়ে চলে।”
সিওলে দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ সেনাকর্তাদের সামনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নির্দিষ্ট একটি নীতির পক্ষে সওয়াল করেছেন। তাঁর মতে, আকার ও আয়তন না দেখে সব দেশকেই তার সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা অনুযায়ী নীতি প্রণয়ন করা উচিত। তিনি বলেন, “সব দেশকেই সমানভাবে আকাশ ও জলপথ ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত।” ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে রাজনাথ সিংহ আরও বলেন, “যদি আমরা সম্মান, সম্বাদ, সহযোগিতা, শান্তি, সমৃদ্ধি, এই পাঁচটি বিষয়কে মাথায় রেখে অগ্রসর হই, তাহলে আমাদের সাফল্য কেউ আটকাতে পারবে না।”
If we work together on the basis of the five principles that have characterized Indian thought and policies for centuries – the principles of Samman (respect), Samvad (dialogue), Sahayog (cooperation), Shanti (peace) and Samriddhi (prosperity), our success is assured.
— Rajnath Singh (@rajnathsingh) September 5, 2019