জোধপুরের আদালতে মঙ্গলবার ক্ষমাপ্রার্থনা করলেন বলিউড তারকা সলমন খান। গতকাল জোধপুরের দায়রা আদালতে ১৯৯৮-এর কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলার শুনানি হয়। এই শুনানিতেই ২০০৩-এ ভুয়ো হলফনামা পেশের জন্য ক্ষমা চাইলেন বলিউডের দাবাং খান। আদালতকে তিনি বলেছেন, এমনটা ভুলক্রমে হয়েছে। এই মামলার রায় শুক্রবার ঘোষণা করা হবে জানা গিয়েছে।
2/8
গতকাল এই মামলার শুনানিতে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন সলমন। শুনানিতে অভিনেতার উকিল হস্তিমল সারস্বত জানান, ২০০৩-এ ভুলক্রমে হলফনামা দেওয়া হয়েছিল। এজন্য অভিনেতাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত।
3/8
সারস্বত আদালতকে বলেছেন, ২০০৩-এর ৮ অগাস্ট ভুলক্রমে হলফনামা দেওয়া হয়েছে। কারণ, সলমন ভুলে গিয়েছিলেন যে, তাঁর বন্দুকের লাইসেন্স পুণর্নবীকরণের জন্য দেওয়া হয়েছিল। কারণ, তিনি খুবই ব্যস্ত ছিলেন। এজন্যই তিনি বলেছিলেন, লাইসেন্স কোর্ট থেকেও উধাও হয়ে গিয়েছিল।
4/8
উল্লেখ্য, ১৯৯৮-এ জোধপুর সংলগ্ন কাকানি গ্রামে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগে সলমনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই সময় তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আদালত তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল।
5/8
২০০৩-এ আদালতে হলফনামা দিয়ে সলমন বলেছিলেন, তাঁর লাইসেন্স খোওয়া গিয়েছে। এ ব্যাপারে মুম্বইয়ের বান্দ্রা থানায় এফআইআর-ও দায়ের করেছেন। পরে আদালত জানতে পারে যে, সলমনের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়নি, বরং তা পুণর্নবীকরের জন্য পেশ করা হয়েছিল।
6/8
এরপর সরকার পক্ষের আইনজীবী ভবানী সিংহ ভাটি দাবি করেছিলেন যে, অভিনেতার বিরুদ্ধে আদালতকে ভুলপথে চালিত করার মামলা দায়ের করা উচিত।
7/8
২০১৮-তে এক নিম্ন আদালত ১৯৯৮-এর সিনেমা হম সাথ সাথ হ্যায়-এর শ্যুটিংয়ের সময় দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার জন্য সলমনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। তাঁর পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।
8/8
নিম্ন আদালতের এই রায়কে দায়রা আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন সলমন। এই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন সলমনের সঙ্গে থাকা অভিনেতা সইফ আলি খান, তব্বু, নীলম ও সোনালি বেন্দ্রে।