ভাল ঘুমই বদলে দিতে পারে একজন মানুষের জীবনযাপন। গবেষণা বলেছে, ভাল ঘুম হলে যে কোনও সমস্যারই সমাধান হতে পারে সহজে। তা সে মানসিকই হোক বা শারীরিক।
2/8
যে কোনও প্রাপ্তবয়স্ককে দিনে অন্তত ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমনোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কম ঘুম হলেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়া, ওজন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা, প্রতিরোধশক্তির ঘাটতি, মানসিক চাপের মতো একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। বিশেষত অতিমারির মতো পরিস্থিতিতে নিজেকে ভাল রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
3/8
স্নায়ুরোগের নানা সমস্যার সমাধান হতে পারে শুধু ভাল করে ঘুমিয়েই, এমনটাই বলছে সমীক্ষা। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, স্নায়বিক যে কোনও সমস্যাই ভাল ঘুমের মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলা যায়। মাথাব্যথার সমস্যা, ডাবল ভিশন বা ব্ল্যাক আউটের মতো সমস্যাও শান্ত নিশ্চিন্ত গভীর ঘুমে মিটে যেতে পারে।
4/8
আমাদের অনেকেরই ধারণা বেশি ঘুম আলস্যের লক্ষণ কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এ ধারণা ভুল বরং ভাল ঘুম অনেক রোগেরই উপশমের কারণ হতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দরকার ভাল ঘুমের।
5/8
অনেকেরই ঘুমের সমস্যা রয়ছে। বিছানায় শুয়েও দীর্ঘক্ষণ জেগে থাকেন অনেকে। সে ক্ষেত্রে কয়েকটি দিক মাথায় রাখালেই মুশকিলআসান। শুতে যাওয়ার অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে আপনার স্মার্ট ফোনটি বন্ধ করে দিন। রাতে মিষ্টি, আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিঙ্ক জাতীয় খাবার খেলে ঘুমের সমস্যা হয়।
6/8
ঘুমের আগে হালকা গরম জলে স্নান করে নিলে ভাল ঘুম হয়। শুতে যাওয়ার আগে হালকা সুতির পোশাক পরুন। গবেষণা বলছে, এক পাশ ফিরে শোওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশি ভাল। ঠিক মতো শুতে পারলে পিঠে-কোমরে ব্যথা কমে যেতে পারে।
7/8
বেশি রাতে অত্যধিক মদ্যপান ঘুমের সমস্যা বাড়ায়। এ ছাড়াও সারাদিনে অতিরিক্ত চা-কফি সিগারেট ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলে।
8/8
সারাদিনের লাইফস্টাইলও ভাল ঘুমের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বলা যেতে পারে ঘুম আর জীবনযাপন একে অন্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। যেমন ভাল ঘুম লাইফস্টালই উন্নত করে। পাশাপাশি সুস্থ লাইফস্টাইল ভাল ঘুমে সাহায্য করে। সবমিলিয়ে পর্যাপ্ত ঘুম দিয়েই একাধিক সমস্যার সমাধান করে ফেলা সম্ভব।