Lala Lajpat Rai Birth Anniversary: স্বদেশি আন্দোলনের স্রষ্টা ‘পাঞ্জাব কেশরী’, ইংরেজের দেওয়া আঘাত কাটিয়ে উঠতে পারেননি

লালা লাজপত রাই।

ইংরেজ শাসনাধীন ভারতে জাতীয়তাবাদী আন্দলোনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয় তাঁর হাত ধরেই। কিন্তু স্বাধীন ভারতে প্রাণভরে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ হয়নি তাঁর।

ইংরেজ শাসকের পেয়াদার মারে যে আঘাত পেয়েছিলেন, তা-ই ক্রমশ মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় তাঁকে। শৈশবে ইতিহাসের পাতায়স যে ‘লাল-বাল-পাল’ত্রয়ীর সঙ্গে পরিচয় ঘটেছিল, শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারি তাঁর জন্মবার্ষিকী।

‘সাইমন গো ব্যাক’ থেকে ‘ব্রিটিশ শাসনের কফিনে শেষ পেরেক’, তাঁর স্লোগানই উদ্বুদ্ধ করেছিল যুবসমাজকে। জন্মবার্ষিকীতে ফিরে দেখা ‘পাঞ্জাব কেশরী’ লালা লাজপত রাইকে।

‘পাঞ্জাব কেশরী’ বা পাঞ্জাবের সিংহ নামে পরিচিত ছিলেন লালা লাজপত রাই। বাল গঙ্গাধর তিলক এবং বিপিনচন্ত্র পাল ছিলেন তাঁর দুই সহযোগী। এই ত্রয়ী ‘লাল-বাল-পাল’ নামে পরিচিত। তাঁদের হাত ধরেই স্বদেশি আন্দোলনের সূচনা।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকা ছিলেন লালা লাজপত রাই। সেখানে ‘হোম রুল লিগ অফ আমেরিকা’র প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুদিনটিকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করা হয় ওড়িশায়।

হরিয়ানার হিসারের রাই ইউনিভার্সিটি অফ ভেটরিনারি অ্যান্ড অ্য়ানিম্যাল সায়েন্সেস লালা লাজপত রাইয়ের নামেই নামাঙ্কিত। আইনের ছাত্র ছিলেন তিনি। জীবনের শেষ পর্যায়ে কর্মস্থল ছিল হিসারই।

‘দ্য স্টোরি অফ মাই ডিপোর্টেশন’ ‘আর্য সমাজ’, ‘দ্য ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা: আ হিন্দুজ ইমপ্রেশন’, ‘ইয়ং ইন্ডিয়া’, ‘আনহ্যাপি ইন্ডিয়া’, ‘ইংল্যান্ডস ডেট টু ইন্ডিয়া’ নামের বইয়ের লেখক।

১৯২০ সালের কলকাতা অধিবেশনে জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন লালা লাজপত রাই। ১৯২৮ সালে সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দেন। তাতে লাঠিচার্জ হলে গুরুতর আঘাত পান। তা সত্ত্বেও আন্দোলন থেকে সরেননি। বরং ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, ‘‘আমার পিঠে যত আঘাত পড়ল আজ, তা ভারতে ব্রিটিশ শাসনের কফিনের শেষ পেরেক।’’

পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্য়াঙ্ক এবং লক্ষ্মী বিমা সংস্থার সঙ্গে একেবারে সূচনাপর্বে যুক্ত ছিলেন লালা লাজপত রাই। কংগ্রেসের যোগদান এবং বিপ্লবী কাজকর্মে যুক্ত থাকার জন্য তাঁকে মান্দালয়ে নির্বাসনে পাঠায় ব্রিটিশ সরকার।

ওই আঘাতের পর আর পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি লালা লাজপত রাই। ১৯২৮ সালের ১৭ নভেম্বর মৃত্য়ু হয় তাঁর। তাঁকে নিয়ে ‘পাঞ্জাব কেশরী’ নামের একটি নির্বাক ছবি তৈরি করেন হোমি মাস্টার। ভারত সরকাররে চলচ্চিত্র বিভাগের তরফেও লালা লাজপত রাইকে নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছে।