Bharatiya Antariksh Station: অন্তরীক্ষে এবার নিজস্ব ঠিকানা ISRO-র, স্পেস স্টেশন গড়ায় মিলল সরকারি অনুমোদন
Science News: ২০৩৫ সালে মধ্যে মহাকাশে নিজস্ব স্পেস স্টেশন, ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে ISRO-র।
নয়াদিল্লি: মহাকাশ অভিযানে আত্মনির্ভর হওয়ার পথে ভারত। অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল না থেকে, এবার মহাকাশে নিজস্ব স্পেস স্টেশন গড়তে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO. বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ISRO-র এই পরিকল্পনা. অনুমোদন দিয়েছে। আপাতত প্রাথমিক পর্যায়ের মডিউল তৈরি করবে ISRO, যা আগামী দিনে ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন (BAS-1) গড়ার কাজে লাগবে। এর ফলে গগনযান অভিযানের পথও সুগম হবে আরও। (Bharatiya Antariksh Station)
২০৩৫ সালে মধ্যে মহাকাশে নিজস্ব স্পেস স্টেশন, ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে ISRO-র। এর পর, ২০২৪ নাগাদ চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। গগনযানের আওতায় মোট আটটি অভিযান চালানো হবে। ২০২৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই আটটি অভিযান সেরে ফেলাই লক্ষ্য। আর ওই সময়ের মধ্যেই BAS-1 উৎক্ষেপণও করা হবে। ভূপৃষ্ঠের ৪০০ কিলোমিটার উপরে স্পেস স্টেশনটির নির্মাণ হবে। ওজন হবে ২০ টন ওজনের। প্রাথমিক পর্যায়ে, একটানা ১৫-২০ দিন থেকে গবেষণা করা যাবে। (Science News)
অর্থাৎ আগামী কয়েক বছরে চূড়ান্ত ব্যস্ত থাকবেন ISRO-র বিজ্ঞানীরা। কারণ স্পেস স্টেশন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জিনিসপত্র নিয়ে পৌঁছতে হবে লক্ষ্যে। সব বন্দোবস্ত করতে হবে মহাকাশে, যাতে আগামী দিনে গবেষণার কাজ আরও সহজ হয়। এখনও পর্যন্ত যা খবর মিলেছে, সেই অনুযায়ী, গগনযান অভিযানের জন্য বরাদ্দ বাড়িয়ে ২০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা করা হয়েছে। অতিরিক্ত দেওয়া হবে ১১ হাজার ১৭০ কোটি টাকা।
চন্দ্রযান, সৌরযান অভিযানে বিপুল সাফল্যের পর মহাকাশ গবেষণায় বিশ্বের তাবড় দেশকে টেক্কা দিচ্ছে ভারত। এতে ISRO-কে সহযোগিতা করছে শিল্পজগৎ, শিক্ষাজগৎ এবং অন্যরাও। ২০২৬ সালের মধ্যে গগনযানের আওতায় চারটি অভিযান সেরে ফেলার লক্ষ্য রয়েছে। এর পর স্পেস স্টেশন তৈরির কাজ শুরু হবে।
ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন মাইক্রোগ্র্যাভিটি নির্ভর বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে ত্বরান্বিত করবে। মহাকাশ গবেষণার পরিসর বর্ধিত হলে কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, যুবসমাজকে মহাকাশ গবেষণাকে কর্মক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেওয়ায় উৎসাহিত করাও লক্ষ্য। বুধবার চন্দ্রযান-৪ এবং পৃথিবীর যমজ বোন, শুক্রগ্রহ অভিযানেও ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। পৃথিবীর সঙ্গে অনেক মিল শুক্রগ্রহের, জন্মও প্রায় একই সময়ে। তাই বরাবরই শুক্রগ্রহকে ঘিরে আগ্রহ।
আরও পড়ুন: Chandrayaan-4 Mission: এবার চন্দ্রযান-৪ অভিযান, সায় দিল মোদি সরকার, সামনে বড় পরীক্ষা