Chandrayaan-4 Mission: এবার চন্দ্রযান-৪ অভিযান, সায় দিল মোদি সরকার, সামনে বড় পরীক্ষা
ISRO News: চাঁদের মাটিতে অবতরণ, নমুনা সংগ্রহ করে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসার পরিকল্পনাও গৃহীত হয়েছে।
নয়াদিল্লি: চন্দ্রযান-৩ সাফল্যের মুকুটে নয়া পালক যোগ করেছে। এবার চন্দ্রযান-৪ অভিযানের পালা। প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল আগেই। এবার চন্দ্রযান-৪ অভিযানে সায় দিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। এই অভিযানের আওতায়, চাঁদের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। শুধু তাই নয়, চাঁদের মাটিতে অবতরণ, নমুনা সংগ্রহ করে আবার নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসার পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। (Chandrayaan-4 Mission)
এখনও পর্যন্ত যা খবর, সেই অনুযায়ী, চন্দ্রযান-৪ অভিয়ানের বাজেট রাখা হয়েছে ২১০৪.০৬ কোটি টাকা। মহাকাশ অভিযানে যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ভারতের, সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে চন্দ্রযান-৪ অভিযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মত বিজ্ঞানীদের। চাঁদের মাটিতে পালকের মতো অবতরণ করে এর আগে ইতিহাস রচনা করেছিল ভারত। এবার নয়া মাইলফলক ছোঁয়ার পালা ভারতীয় মহাকাশ গবেষমা সংস্থা ISRO-র। (ISRO News)
এবারের এই অভিযান ISRO-র জন্য যথেষ্ট চ্যালেঞ্জেরও। কারণ মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারত কতটা এগিয়েছে, তাও এই অভিযানই প্রমাণ করবে। চাঁদের কক্ষপথে নোঙর করা, চাঁদের মাটিতে নেমে নমুনা সংগ্রহ করা, সেখান থেকে বেরিয়ে আসা এবং পুনরায় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে মাটি ছোঁয়া, প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Union Cabinet under the leadership of Hon'ble PM Shri @narendramodi ji has approved the mission to moon, named Chandrayaan-4 to develop & demonstrate the technologies to come back to Earth after successfully landing on the Moon & also collect moon samples & analyse them on Earth.… pic.twitter.com/no9OzE7Jb3
— Kiren Rijiju (@KirenRijiju) September 18, 2024
এই অভিযান আরও একটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ, মহাকাশ অভিযানে ভারতের নিজস্ব পরিচিতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে। কারণ অন্যের উপর নির্ভরশীল না থেকে মহাকাশে নিজস্ব স্পেস স্টেশন, ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন তৈরির লক্ষ্যও রয়েছে ভারতের। ২০৩৫ সালের মধ্যে সেই কাজে সফল হতে চায় ভারত। এর পর, ২০২৪ সাল নাগাদ চাঁদের মাটিতে মানুষ নামানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।
চন্দ্রযান-৪ অভিযান নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে ISRO. কেন্দ্রীয় অনুমোদন মেলার পর চন্দ্রযান তৈরি এবং উৎক্ষেপণ, আগামী ৩৬ মাসের মধ্যে সবকিছু সারতে হবে। ভারতীয় শিল্পজগৎ, শিক্ষাজগৎও এই অভিযানে যুক্ত হচ্ছে। এতে কর্মসংস্থানের আরও সুযোগ তৈরি হবে বলেও আশা। দেশীয় প্রযুক্তির উপর নির্ভর করেই চন্দ্রযান-৪ অভিযানের লক্ষ্য নিয়েছে ISRO. মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ভারতকে আত্মনির্ভর করে তুলতে চায় তারা।
আরও পড়ুন: Spiders on Mars: মঙ্গলের বুকে ঝাঁক ঝাঁক মাকড়শা? স্যাটেলাইটে ধরে পড়ে আগেই, রহস্য মিটল এতদিনে