Chandrayaan-3: চন্দ্রযানকে 'সঙ্গ দিতে' কক্ষপথে লুনা! চাঁদে ভারত-রাশিয়ার 'যুগলবন্দি'
Chandrayaan-3 Lunar Mission: কক্ষপথে ঘূর্ণন শেষে এবার চন্দ্রযান থেকে বিছিন্ন হতে চলেছে ল্যান্ডার 'বিক্রম' এবং রোভার 'প্রজ্ঞান'।
নয়া দিল্লি: মুন মিশনের (Moon Mission) ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছল ভারত (India)। এবার অপেক্ষা চাঁদের মাটি স্পর্শ করা। ২৩ অগাস্ট চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করার কথা রয়েছে চন্দ্রযান-৩ এর। কক্ষপথে ঘূর্ণন শেষে এবার চন্দ্রযান থেকে বিছিন্ন হতে চলেছে ল্যান্ডার 'বিক্রম' এবং রোভার 'প্রজ্ঞান'। এদিকে, চন্দ্রযানের মতো চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছেছে রাশিয়ার (Russia) নভোযান লুনা-২৫। ২১ অগাস্ট থেকে ২৩ অগাস্টের মধ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করার কথা রয়েছে সেটিরও।
দুই দেশই সিদ্ধান্ত নিয়েছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে তাঁরা। ওয়াকিবহাল মহলের মত তবে কি চাঁদে ইন্দো-রাশিয়া টক্কর চলছে। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) জানিয়েছে এ ধরনের কোনও প্রতিযোগিতা নেই। দুই দেশই মহাকাশ বিজ্ঞানের জায়গায় তাঁদের এই পদক্ষেপ নিয়েছে। চাঁদে একটি নতুন 'মিটিং পয়েন্ট' থাকবে দুই দেশেরই।
১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে চন্দ্রযানকে। ৫ অগাস্ট সুষ্ঠুভাবেই চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছেছে সে। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৭ অগাস্ট প্রপালশন মডিউল এবং ল্যান্ডার বিক্রম পৃথক হবে। ২৩ অগাস্ট প্রিলোড করা কমান্ডগুলি ট্রিগার হওয়ার পরে, ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের পৃষ্ঠে সফট ল্যান্ডিং করবে। অবতরণ যাতে ঠিকমতো হয়, তার জন্য সমস্ত রকমের পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছে ইসরো। হার্ড ল্যান্ডিং এড়াতে ল্যান্ডার বিক্রমের চাঁদে অবতরণের জন্য একটি 'সেলভেজ মোড' রয়েছে।
আরও পড়ুন, লক্ষ্য এবার সূর্য! কবে যাত্রা শুরু ভারতের Aditya L-1-এর?
অন্যদিকে, ১১ অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে লুনা-২৫ পাঠিয়েছে রাশিয়া। ৪৭ বছর পর চন্দ্র অভিযান করল রাশিয়া। রাশিয়া একটি ভারী-লিফ্ট রকেট ব্যবহার করেছে যা লুনা-২৫ স্যাটেলাইটকে সরাসরি চাঁদে নিক্ষেপ করেছে। ১৬ অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে ঘূর্ণন শেষ করে ২১ অগাস্ট এবং ২৩ অগাস্টের মধ্যে সফট ল্যান্ডিং করার কথা রয়েছে লুনার।
ইসরোর কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ নিরাপদে চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান ৩ কে অবতরণ করানো। এর আগে ২ বার ব্যর্থ হয়েছে ইসরোর চন্দ্রাভিযান। তাই এবার বাড়তি সতর্ক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র। গত সপ্তাহে, ISRO চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন যে অবতরণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় হল যখন ল্যান্ডারের বেগ কমিয়ে ৩০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে চূড়ান্ত অবতরণের পথে নিয়ে আসা হবে। এই সময় মহাকাশযানটিকে অনুভূমিক থেকে উল্লম্ব পথে এনে চাঁদের মাটিতে নামানো হবে।