বদলেছে রাস্তার নাম-বাড়ির অবয়ব, কিন্তু কলকাতায় এসে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ওঠা প্রথম বাড়িতে তাঁর স্মৃতি আজও উজ্জ্বল
জেলা থেকে কলকাতায় এসে প্রথম উঠেছিলেন তৎকালীন মির্জাপুর স্ট্রিটে। তারপর তিনবার বাড়ি বদলেছিলেন। তবে শিয়ালদা চত্বরের বাড়িতে আজও উজ্জ্বল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতি।
৪৯ নম্বর মির্জাপুর স্ট্রিটের অস্তিস্ব আর নেই, তবে হয়তো ঠিকানাকে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে সৌমিত্রবাবুর জন্য। জীবনের অনেকগুলো বছর এই ঠিকানাতেই কাটিয়েছিলেন তিনি।
মির্জাপুর স্ট্রিট নয়, নাম বদলে আজ সূর্যসেন স্ট্রিট। কলকাতায় এসে এখানের ৪৯ নম্বর বাড়িতেই প্রথম উঠেছিলেন সদ্য কুড়ির গণ্ডিতে পা রাখা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। পাঁচের দশকে এই বাড়িতে থাকাকালীন, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। কাছের কফিহাউসে যাওয়াটা হয়ে উঠেছিল দৈনন্দিন রুটিন। কফিহাউস থেকেই প্রথমবার সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সৌমিত্রবাবু। যে বাড়ি বিক্রির পর প্রথমে পূর্ণদাস রোডের ভাড়া বাড়ি, তারপর লেক টেম্পল রোড ও সবশেষে ১৯৮৬ সালে গলফ গ্রিন বাড়িতে।
নতুন ভাড়াটিয়া তৎকালীন মির্জাপুর তথা বর্তমান সূর্যসেন স্ট্রিটের বাড়িতেএসে দেখেন ফলকে লেখা 'হে বন্ধু বিদায়।' কলকাতার প্রথম আবাসকে এতটাই কাছের বন্ধু বানিয়ে ফেলেছিলেন সৌমিত্রবাবু। সেই বাড়িও এখনও ভোলেনি বঙ্গ কিংবদন্তিকে।