Assam Floods: বন্যা পরিদর্শনে হিমন্ত, দেখে বাঁধ ভাঙল আবেগ, জল ঠেলেই 'গামোছা' উপহার, ভাইরাল অসমের ভিডিও
Assam Flood Situation: রবিবার অসমের বরাক এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন হিমন্ত। সেখানে জল ঠেলে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন এক যুবক।
গুয়াহাটি: মহারাষ্ট্র রাজনীতির ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে অসম। তাতে বন্যার ভয়াবহ চিত্র কার্যতই ঢাকা পড়ে গিয়েছে (Assam Floods)। এমন পরিস্থিতিতে বুকসমান জল ঠেলে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে (Himanta Biswa Sarma) অভ্যর্থনা জানাতে দেখা গেল রাজ্যের এক বাসিন্দাকে। বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন হিমন্ত। সেই সময় জল ঠেলে ‘গামোছা’ পরিয়ে হিমন্তকে অভ্যর্থনা জানাতে আসেন ওই যুবক।
বন্যার জল ঠেলে মুখ্যমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা অসমের যুবকের
রবিবার অসমের বরাক এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন হিমন্ত। সেখানে জল ঠেলে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন এক যুবক। নেটমাধ্যমে যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, বহুতল ওই বাড়ির নিচের অংশটি সম্পূর্ণ জলমগ্ন। বাড়ির মূল ফটকটির উপরের সামান্য অংশই জলের উপর জেগে রয়েছে। সেই অবস্থাতেই ফটকের সামনে উঁচু একটি অংশে দাঁড়িয়ে হিমন্তর উদ্দেশে হাত নাড়ছেন ওই যুবক। তাঁর হাতে অসমের সংস্কৃতির প্রতীক ‘গামোছা’ (Viral Video) ।
লাইফ জ্যাকেট পড়ে, নৌকোয় করে ওই বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন হিমন্ত। ওই যুবককে দেখে নৌকোর গতি শ্লথ হয়। এর পর দুই ব্যক্তির সাহায্যে জল ঠেলে হিমন্তর নৌকার কাছে এসে পৌঁছন তিনি। হিমন্তর হাতে তুলে দেন ‘গামোছা’।
#WATCH | Assam CM Himanta Biswa Sarma visited the flood affected Barak valley area where a resident braved flood waters to greet him with a 'Gamusa' pic.twitter.com/VOvQayYBoo
— ANI (@ANI) June 26, 2022
ওই যুবককে ধন্যবাদ জানান হিমন্তও। তিনি বলেন, "পরে কখনও আসব। চা খাব তোমার সঙ্গে বসে। পরে যখন শিলচর আসব, তোমার বাড়িতে আসব।"
অসমের বন্যায় এখনও পর্যন্ত ১২১ জন মারা গিয়েছেন। বন্যার জলে সলিল সমাধি ঘটেছে বহু মানুষের অনেকে আবার ধসে চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন। রাজ্যের ৩০টির বেশি জেলা জলমগ্ন বলে জানা গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই নতুন করে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এর মধ্যে শিলচরের অবস্থাই সবচেয়ে উদ্বেগজনক। সেখানে গৃহবন্দি স্থানীয় বাসিন্দারা। উদ্ধারকারীরা পর্যন্ত পৌঁছতে পারছেন না। ত্রাণ দিতে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ড্রোনে চাপিয়ে যত সম্ভব মানুষকে খাদ্য-সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
বন্যায় বিপর্যস্ত অসম
এ দিন শিলচরে গিয়ে হিমন্ত জানান, শিলচরে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে আনাই এই মুহূর্তে সরকারের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টি না হলেই পরিস্থিতি ইতিবাচক হতে পারে বলে জানান তিনি